চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় “ফটিকছড়ি উত্তর” নামে নতুন উপজেলা গঠনের প্রস্তাবে সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার অংশ সংযোজনের প্রস্তাবে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকালে সুয়াবিল চুরখাঁহাট এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর সুয়াবিলবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডা. এস. এম. ফরিদ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ডঃ মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, “প্রস্তাবটি আইনসম্মত নয় ও জনস্বার্থবিরোধী। জনগণের মতামত ছাড়া এটি করা হয়েছে। সুয়াবিল থেকে নতুন উপজেলার দূরত্ব অনেক বেশি, ফলে জনসেবা ও আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে দুর্ভোগ বাড়বে।” তিনি আরও বলেন, নাজিরহাট পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড নতুন উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত হলে দ্বৈত প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নাজিরহাট কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস. এম নুরুল হুদা, এস. এম শফিউল আলম ও এড. ইছমাইলসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, ভুল পরিসংখ্যান ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে প্রস্তাবটি মাঠ প্রশাসনের কাছে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা সুয়াবিল ও নাজিরহাটের অংশ অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবকে অন্যায্য ও অযৌক্তিক উল্লেখ করেন এবং জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে আন্দোলন ও আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে সুয়াবিলবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এমআর/সবা






















