জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সমিরণ নেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক মুক্তা বানু বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ কার্যক্রম ও বিভিন্ন বরাদ্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় না করে এর বড় অংশ আত্মসাৎ করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস না হওয়া, টয়লেট ও ওয়াশ ব্লকের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পানির ট্যাপ অকেজো থাকা, এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের দায়িত্বহীন আচরণের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে দপ্তরিক ও নৈশপ্রহরী থাকলেও শ্রেণিকক্ষ, খেলার মাঠ ও টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে শিক্ষার্থীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লাস করতে হচ্ছে। এছাড়া চারু ও কারু পরীক্ষায় “হাতের কাজ” নামে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অনেক শিক্ষক পাঠদানের সময় ক্লাসে ঘুমান বা মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন। তাছাড়া তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর কারণে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী নন। এমনকি শিক্ষকরা নিজেরা বিশুদ্ধ পানি পান করলেও শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয় সাপ্লাই ট্যাংকের পানি পান করতে।
বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বললে তিনি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, মুক্তা বানু বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ, সরকারি অনুদান ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণভিত্তিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করে থাকেন, যার ফলে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন অভিভাবক রাজিব হাসান, মো. গোলাম রব্বানী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোছা. সুমা ও মো. মশিউর রহমান। তারা অভিযোগের তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মুক্তা বানু বলেন, “অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও মনগড়া। এটি আমার বিরুদ্ধে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা।”
এমআর/সবা






















