রংপুরে ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে সবজি বাজারে মূলত স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। মাছ, মাংস, চাল, ডাল ও তেলের দামও আগের মতোই রয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা যায়, মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৪-৪৬ টাকা। পাইকারি বাজারে একশত ডিমের দাম পড়ছে ১০৫০-১১০০ টাকা, অর্থাৎ প্রতিহালি ডিমের দাম পড়ছে ৪২-৪৪ টাকায়। মুলাটোল আমতলা বাজারে আবুল হোসেন বলেন, “দুদিন আগেও ডিমের হালি ৪৪-৪৬ টাকায় ছিল।”
সবজি বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকলেও কাঁচামরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে। খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে। লালবাগ বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, “পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজি কাঁচামরিচের দাম ৬০০ টাকা, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ১৪০-১৬০ টাকা।”

টমেটো ও গাজরের দাম ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ১২০-১৩০ টাকা, চালকুমড়া ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা, চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, শিম ১৮০-২০০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর ২৫-৩০ টাকা, লেবু ২০-২৫ টাকা।
ধনেপাতার দাম কিছুটা কমে ১৮০-২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১২০ টাকা, আমদানি রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা, সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আলুর বাজারেও দাম প্রায় আগের মতোই রয়েছে। কার্ডিনাল আলু ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা, বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি।
মুরগির বাজারেও দাম অপরিবর্তিত। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি। গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে স্বর্ণা মোটা ৪৮-৫০ টাকা, চিকন ৫৮-৬০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৭০-৭৫ টাকা, বিআর-২৯ ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি।

মাছের বাজারে আকারভেদে রুই ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্টেশন বাজারের সবজি বিক্রেতা রহমান বাদল বলেন, “শীতকালীন সবজির সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে বর্তমান বাজারে সামান্য হেরফের ছাড়া মূলত দাম স্থিতিশীল।”
এমআর/সবা


























