০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে ডিমের দাম বাড়লো, সবজি বাজারে স্থিতিশীলতা বজায়

রংপুরে ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে সবজি বাজারে মূলত স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। মাছ, মাংস, চাল, ডাল ও তেলের দামও আগের মতোই রয়েছে।

নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা যায়, মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৪-৪৬ টাকা। পাইকারি বাজারে একশত ডিমের দাম পড়ছে ১০৫০-১১০০ টাকা, অর্থাৎ প্রতিহালি ডিমের দাম পড়ছে ৪২-৪৪ টাকায়। মুলাটোল আমতলা বাজারে আবুল হোসেন বলেন, “দুদিন আগেও ডিমের হালি ৪৪-৪৬ টাকায় ছিল।”

সবজি বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকলেও কাঁচামরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে। খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে। লালবাগ বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, “পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজি কাঁচামরিচের দাম ৬০০ টাকা, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ১৪০-১৬০ টাকা।”

 

টমেটো ও গাজরের দাম ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ১২০-১৩০ টাকা, চালকুমড়া ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা, চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, শিম ১৮০-২০০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর ২৫-৩০ টাকা, লেবু ২০-২৫ টাকা।

ধনেপাতার দাম কিছুটা কমে ১৮০-২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১২০ টাকা, আমদানি রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা, সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

আলুর বাজারেও দাম প্রায় আগের মতোই রয়েছে। কার্ডিনাল আলু ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা, বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি।

মুরগির বাজারেও দাম অপরিবর্তিত। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি। গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে স্বর্ণা মোটা ৪৮-৫০ টাকা, চিকন ৫৮-৬০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৭০-৭৫ টাকা, বিআর-২৯ ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি।

 

মাছের বাজারে আকারভেদে রুই ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্টেশন বাজারের সবজি বিক্রেতা রহমান বাদল বলেন, “শীতকালীন সবজির সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে বর্তমান বাজারে সামান্য হেরফের ছাড়া মূলত দাম স্থিতিশীল।”

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

রংপুরে ডিমের দাম বাড়লো, সবজি বাজারে স্থিতিশীলতা বজায়

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরে ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে সবজি বাজারে মূলত স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। মাছ, মাংস, চাল, ডাল ও তেলের দামও আগের মতোই রয়েছে।

নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা যায়, মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৪-৪৬ টাকা। পাইকারি বাজারে একশত ডিমের দাম পড়ছে ১০৫০-১১০০ টাকা, অর্থাৎ প্রতিহালি ডিমের দাম পড়ছে ৪২-৪৪ টাকায়। মুলাটোল আমতলা বাজারে আবুল হোসেন বলেন, “দুদিন আগেও ডিমের হালি ৪৪-৪৬ টাকায় ছিল।”

সবজি বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকলেও কাঁচামরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে। খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে। লালবাগ বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, “পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজি কাঁচামরিচের দাম ৬০০ টাকা, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ১৪০-১৬০ টাকা।”

 

টমেটো ও গাজরের দাম ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ১২০-১৩০ টাকা, চালকুমড়া ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা, চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, শিম ১৮০-২০০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর ২৫-৩০ টাকা, লেবু ২০-২৫ টাকা।

ধনেপাতার দাম কিছুটা কমে ১৮০-২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১২০ টাকা, আমদানি রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা, সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

আলুর বাজারেও দাম প্রায় আগের মতোই রয়েছে। কার্ডিনাল আলু ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা, বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি।

মুরগির বাজারেও দাম অপরিবর্তিত। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি। গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে স্বর্ণা মোটা ৪৮-৫০ টাকা, চিকন ৫৮-৬০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৭০-৭৫ টাকা, বিআর-২৯ ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি।

 

মাছের বাজারে আকারভেদে রুই ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্টেশন বাজারের সবজি বিক্রেতা রহমান বাদল বলেন, “শীতকালীন সবজির সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে বর্তমান বাজারে সামান্য হেরফের ছাড়া মূলত দাম স্থিতিশীল।”

এমআর/সবা