যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আলোকে সরকার প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে। এই চুক্তির আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।
এর প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে।
গত বছর বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় যুক্তরাষ্ট্র ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছিল। শুল্ক থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়। জুলাই মাসে দেশটি থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানি করার বিষয়ে চুক্তি সই করা হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত রাখা হবে।
যদিও ভারত, রাশিয়া, বেলারুসসহ অন্যান্য দেশ থেকেও প্রয়োজনীয় গম আমদানি করা হয়, তবে মার্কিন শুল্ক কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পরে জুলাইতে দীর্ঘ আলোচনার পর শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, “বাংলাদেশ আরও বেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করতে প্রস্তুত। আশা করছি এর মাধ্যমে মার্কিন শুল্ক আরও কমবে এবং দুই দেশের স্থায়ী ও পারস্পরিক সুবিধাজনক বাণিজ্য অংশীদারত্বে সহায়ক হবে।”
এছাড়া বৈঠকে তুলা ও সয়াবিনসহ মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির পরিকল্পনা নিয়েও মতবিনিময় হয়। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) চুক্তি অনুযায়ী গম আমদানি কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে।
জাহাজে থাকা গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমদানিকৃত ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টনের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং বাকি ২২ হাজার ৭৮৯ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
এমআর/সবা























