চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটারেজ জাহাজের অভাবে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। বিদেশ থেকে মাদার ভ্যাসেলে আনা হাজার হাজার টন পণ্য সময়মতো খালাস করতে না পারায় বন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে একেকটি মাদার ভ্যাসেলের জন্য যেখানে তিন–চারটি লাইটারেজ জাহাজ প্রয়োজন, সেখানে প্রায়শই একটি জাহাজই বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
গতকাল ৪৭টি মাদার ভ্যাসেল ১২ লাখ টনের বেশি পণ্য নিয়ে অবস্থান করছিল। এর মধ্যে কিছু জাহাজ দীর্ঘদিন ধরে বহির্নোঙরে অলস অবস্থায় থাকায় আমদানিকারককে প্রতিদিন লাখ লাখ ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এতে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়া ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে লাইটারেজ জাহাজের সিংহভাগ বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি) নিয়ন্ত্রণ করে। তবে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন জাহাজ বিডব্লিউটিসিসির সিরিয়ালে না এসে নিজস্ব ব্যবস্থায় পণ্য পরিবহন করছে, যা জাহাজের অভাবে সংকট আরও প্রকট করছে।
বিডব্লিউটিসিসির নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) জি এম খান স্বীকার করেছেন, “জাহাজের অভাবের কারণে পণ্য খালাসে সমস্যা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় জাহাজ পাওয়া না গেলে আমরা কেবল রেশনিংয়ের মাধ্যমে জাহাজ বরাদ্দ দিতে বাধ্য হচ্ছি।”
আমদানিকারকরা সতর্ক করেছেন, লাইটারেজ জাহাজের সংকট অব্যাহত থাকলে বিদেশি জাহাজগুলো দীর্ঘ সময় সাগরে ভাসতে থাকবে, কোটি কোটি ডলারের ক্ষতি হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা জোর দিয়ে বলেন, এই সেক্টরে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত জাহাজ বরাদ্দ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এমআর/সবা
























