০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে অচল ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতাল, সাড়ে পাঁচ বছরেও শুরু হয়নি পূর্ণাঙ্গ সেবা

রংপুর নগরীতে শিশুদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে নির্মিত ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটি সাড়ে পাঁচ বছরেও চালু হয়নি জনবল সংকটে। ৩১ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৮০৯ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালটি আজও পড়ে আছে ব্যবহারহীন অবস্থায়, অবকাঠামো ও আসবাবপত্র অযত্নে নষ্ট হচ্ছে।

করোনাকালে এটি ‘করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীতে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সম্প্রতি রোগীর চাপ সামাল দিতে জোড়াতালি দিয়ে বহির্বিভাগ চালু করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কনসালটেন্ট চিকিৎসকরা পালা করে কয়েক ঘণ্টা সেবা দিচ্ছেন।

হাসপাতাল রেজিস্ট্রার অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, যদিও এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ২০০ শিশুর চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন।

রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্য কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. ওয়াজেদ আলী জানান, হাসপাতালটি চালু করতে প্রয়োজনীয় ৮০০ জনের নিয়োগ অনুমোদন পেয়েছে এবং তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন হলে সংকটের সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রংপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর সাবেক সদর হাসপাতালের ১ দশমিক ৭৮ একর জমিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা শেষ হয় ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর। ২০২০ সালের ৮ মার্চ ভবন হস্তান্তর করা হয়। তিনতলা হাসপাতাল ভবনের প্রতিতলার আয়তন ২০ হাজার ৮৮২ বর্গফুট। পাশাপাশি নির্মিত হয়েছে সুপারিনটেনডেন্ট, চিকিৎসক, স্টাফ ও নার্সদের কোয়ার্টার এবং বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের ভবন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরে অচল ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতাল, সাড়ে পাঁচ বছরেও শুরু হয়নি পূর্ণাঙ্গ সেবা

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

রংপুর নগরীতে শিশুদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে নির্মিত ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটি সাড়ে পাঁচ বছরেও চালু হয়নি জনবল সংকটে। ৩১ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৮০৯ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালটি আজও পড়ে আছে ব্যবহারহীন অবস্থায়, অবকাঠামো ও আসবাবপত্র অযত্নে নষ্ট হচ্ছে।

করোনাকালে এটি ‘করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীতে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সম্প্রতি রোগীর চাপ সামাল দিতে জোড়াতালি দিয়ে বহির্বিভাগ চালু করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কনসালটেন্ট চিকিৎসকরা পালা করে কয়েক ঘণ্টা সেবা দিচ্ছেন।

হাসপাতাল রেজিস্ট্রার অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, যদিও এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ২০০ শিশুর চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন।

রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্য কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. ওয়াজেদ আলী জানান, হাসপাতালটি চালু করতে প্রয়োজনীয় ৮০০ জনের নিয়োগ অনুমোদন পেয়েছে এবং তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন হলে সংকটের সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রংপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর সাবেক সদর হাসপাতালের ১ দশমিক ৭৮ একর জমিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা শেষ হয় ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর। ২০২০ সালের ৮ মার্চ ভবন হস্তান্তর করা হয়। তিনতলা হাসপাতাল ভবনের প্রতিতলার আয়তন ২০ হাজার ৮৮২ বর্গফুট। পাশাপাশি নির্মিত হয়েছে সুপারিনটেনডেন্ট, চিকিৎসক, স্টাফ ও নার্সদের কোয়ার্টার এবং বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের ভবন।

এমআর/সবা