০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গতি দেশীয় জ্বালানি খাতে আশার আলো

  • ১১ গ্যাস কূপ থেকে ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা
  • প্রাকৃতিক গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এখন এলএনজি আমদানি করছে
  • এলএনজি আমদানি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করবে: আইইএর প্রতিবেদন

দেশের বর্তমান জ্বালানি সংকট নিরসনে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করে জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে স্থিতিশীল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বদ্ধপরিকর পেট্রোবাংলা। এলক্ষ্যে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ৫০টি ও ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার কর্মপরিকল্পনাসহ দেশের বিভিন্ন ব্লকে অনুসন্ধান ও নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। বর্তমানে ১১টি কূপের খনন কার্যক্রমের সফল সমাপ্তিতে আনুমানিক দৈনিক ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংস্থান নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা। তবে এদিকে, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা আগামী এক দশকে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)। এতে বলা হয়েছে, দ্রুত বাড়তে থাকা জ্বালানি চাহিদা, দেশীয় গ্যাস কমে যাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সরবরাহ ব্যবস্থার ঝুঁকি এই তিন চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করছে বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ। একসময় প্রাকৃতিক গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ এখন মোট চাহিদার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ আমদানি করছে। আইইএর হিসাব অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্মিলিত এলএনজি আমদানি প্রায় ৮০ বিলিয়ন ঘনমিটারে (বিসিএম) পৌঁছাতে পারে যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।
তবে, তেল-গ্যাস উত্তোলনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কর্তৃক জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ব্লক-৮ এ বাণিজ্যিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। জামালপুর স্ট্রাকচারে গ্যাসের রিজার্ভের পরিমাণ ও বিস্তৃতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে আরও দুটি (একটি উন্নয়ন ও একটি অনুসন্ধান) কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেই অনুযায়ী ডিপিপি প্রণয়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) অন্তর্গত হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে সিলেট-১০ কূপ খননের সময় উক্ত এলাকায় জ্বালানি তেলের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। হরিপুর স্ট্রাকচারে মজুদকৃত জ্বালানি তেলের বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে সিলেট-১২ তেল কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ দ্বীপ ভোলা এলাকায় প্রাপ্ত গ্যাসের মজুদ ও বিস্তৃতি নির্ণয়ের লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় আরও ১৯টি নতুন কূপ খননের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভোলা এলাকায় প্রাপ্ত গ্যাস ভোলায় প্রতিষ্ঠিতব্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে সরবরাহ করা হবে, যা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। পেট্রোবাংলা জানায়, আবিষ্কৃত ভূতাত্ত্বিক স্ট্রাকচারের গভীর স্তরে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ মূল্যায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) আওতায় তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে দুটি এবং বাপেক্সের আওতায় শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ড ও মোবারকপুর স্ট্রাকচারে দুটিসহ মোট চারটি গভীর কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন ব্লকে নতুন নতুন লিড/প্রসপেক্টসহ খননযোগ্য কূপের লোকেশন চিহ্নিতকরণের জন্য বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফএল কর্তৃক স্ব স্ব ব্লকে সাইসমিক ডাটা আহরণ ও বিশ্লেষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সময়াবদ্ধ পরিকল্পনার মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য বাপেক্সের নিজস্ব পাঁচটি রিগ এবং টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের তিনটি রিগসহ মোট আট রিগের মাধ্যমে কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের রিগ দ্বারা তিতাস-২৮ উন্নয়ন কূপ খনন কার্যক্রম শুরু হবে। ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে বিজিএফসিএলের সঙ্গে টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের আরও একটি রিগের মাধ্যমে তিতাস-৩১ ডিপ অনুসন্ধান কূপের খনন কার্যক্রম শুরু করার প্রত্যয়ে পেট্রোবাংলা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও ভোলা এলাকায় পাঁচটি কূপ খননের লক্ষ্যে বাপেক্স ও টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের মধ্যে অতি শিগগিরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ফলে ভোলা এলাকায় কূপ খননের লক্ষ্যে আরও একটি রিগ নিয়োজিত হবে। তবে পেট্রোবাংলা আশা করছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত মধ্যে বাপেক্সের ৫টি রিগ এবং টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের ৬টি রিগসহ মোট ১১টি রিগ এর মাধ্যমে একই সাথে মোট ১১টি কূপের খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম চলমান থাকবে। বাপেক্স কর্তৃক খনন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাপেক্সের পাঁচটি রিগের পাশাপাশি আরো দুটি নতুন রিগ কেনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উল্লিখিত ১১টি কূপের খনন কার্যক্রমের সফল সমাপ্তিতে আনুমানিক দৈনিক ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংস্থান নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা। এতে দেশের নিজস্ব গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের বিদ্যমান গ্যাস সংকট হ্রাস করে দেশের অর্থনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গতি দেশীয় জ্বালানি খাতে আশার আলো

আপডেট সময় : ০৭:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ১১ গ্যাস কূপ থেকে ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা
  • প্রাকৃতিক গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এখন এলএনজি আমদানি করছে
  • এলএনজি আমদানি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করবে: আইইএর প্রতিবেদন

দেশের বর্তমান জ্বালানি সংকট নিরসনে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করে জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে স্থিতিশীল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বদ্ধপরিকর পেট্রোবাংলা। এলক্ষ্যে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ৫০টি ও ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার কর্মপরিকল্পনাসহ দেশের বিভিন্ন ব্লকে অনুসন্ধান ও নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। বর্তমানে ১১টি কূপের খনন কার্যক্রমের সফল সমাপ্তিতে আনুমানিক দৈনিক ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংস্থান নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা। তবে এদিকে, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা আগামী এক দশকে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)। এতে বলা হয়েছে, দ্রুত বাড়তে থাকা জ্বালানি চাহিদা, দেশীয় গ্যাস কমে যাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সরবরাহ ব্যবস্থার ঝুঁকি এই তিন চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করছে বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ। একসময় প্রাকৃতিক গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ এখন মোট চাহিদার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ আমদানি করছে। আইইএর হিসাব অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্মিলিত এলএনজি আমদানি প্রায় ৮০ বিলিয়ন ঘনমিটারে (বিসিএম) পৌঁছাতে পারে যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।
তবে, তেল-গ্যাস উত্তোলনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কর্তৃক জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ব্লক-৮ এ বাণিজ্যিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। জামালপুর স্ট্রাকচারে গ্যাসের রিজার্ভের পরিমাণ ও বিস্তৃতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে আরও দুটি (একটি উন্নয়ন ও একটি অনুসন্ধান) কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেই অনুযায়ী ডিপিপি প্রণয়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) অন্তর্গত হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে সিলেট-১০ কূপ খননের সময় উক্ত এলাকায় জ্বালানি তেলের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। হরিপুর স্ট্রাকচারে মজুদকৃত জ্বালানি তেলের বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে সিলেট-১২ তেল কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ দ্বীপ ভোলা এলাকায় প্রাপ্ত গ্যাসের মজুদ ও বিস্তৃতি নির্ণয়ের লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় আরও ১৯টি নতুন কূপ খননের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভোলা এলাকায় প্রাপ্ত গ্যাস ভোলায় প্রতিষ্ঠিতব্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে সরবরাহ করা হবে, যা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। পেট্রোবাংলা জানায়, আবিষ্কৃত ভূতাত্ত্বিক স্ট্রাকচারের গভীর স্তরে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ মূল্যায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) আওতায় তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে দুটি এবং বাপেক্সের আওতায় শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ড ও মোবারকপুর স্ট্রাকচারে দুটিসহ মোট চারটি গভীর কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন ব্লকে নতুন নতুন লিড/প্রসপেক্টসহ খননযোগ্য কূপের লোকেশন চিহ্নিতকরণের জন্য বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফএল কর্তৃক স্ব স্ব ব্লকে সাইসমিক ডাটা আহরণ ও বিশ্লেষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সময়াবদ্ধ পরিকল্পনার মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য বাপেক্সের নিজস্ব পাঁচটি রিগ এবং টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের তিনটি রিগসহ মোট আট রিগের মাধ্যমে কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের রিগ দ্বারা তিতাস-২৮ উন্নয়ন কূপ খনন কার্যক্রম শুরু হবে। ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে বিজিএফসিএলের সঙ্গে টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের আরও একটি রিগের মাধ্যমে তিতাস-৩১ ডিপ অনুসন্ধান কূপের খনন কার্যক্রম শুরু করার প্রত্যয়ে পেট্রোবাংলা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও ভোলা এলাকায় পাঁচটি কূপ খননের লক্ষ্যে বাপেক্স ও টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের মধ্যে অতি শিগগিরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ফলে ভোলা এলাকায় কূপ খননের লক্ষ্যে আরও একটি রিগ নিয়োজিত হবে। তবে পেট্রোবাংলা আশা করছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত মধ্যে বাপেক্সের ৫টি রিগ এবং টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের ৬টি রিগসহ মোট ১১টি রিগ এর মাধ্যমে একই সাথে মোট ১১টি কূপের খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম চলমান থাকবে। বাপেক্স কর্তৃক খনন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাপেক্সের পাঁচটি রিগের পাশাপাশি আরো দুটি নতুন রিগ কেনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উল্লিখিত ১১টি কূপের খনন কার্যক্রমের সফল সমাপ্তিতে আনুমানিক দৈনিক ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংস্থান নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা। এতে দেশের নিজস্ব গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের বিদ্যমান গ্যাস সংকট হ্রাস করে দেশের অর্থনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।