রাজধানীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার আশরাফুল হকের খণ্ডিত মরদেহ রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর নয়াপাড়া গ্রামে দাফন করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নয়াপাড়া আল মাহফুজ মাদ্রাসা মাঠে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। নিহত আশরাফুল হক ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
এর আগে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহের অংশগুলো গ্রামে পৌঁছালে স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
র্যাবের প্রাথমিক তথ্যানুসারে, মালয়েশিয়া ফেরত আশরাফুলের বন্ধু জরেজুল (জরেজ) পরিকল্পিতভাবে তাকে প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে একটি অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ এবং তা দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। এ পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন জরেজের প্রেমিকা শামীমা আক্তার।
তথ্য মতে, নিয়মিত অডিও–ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ চলছিল। গত ১১ নভেম্বর রাত ৮টায় জরেজ আশরাফুলকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হন। ১২ নভেম্বর ঢাকায় এসে তারা শনির আখড়ার নূরপুর এলাকায় ৫,৫০০ টাকা ভাড়ায় একটি বাসা নেন।
র্যাব সূত্র জানায়, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শামীমা আক্তার মাল্টার শরবতের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আশরাফুলকে অচেতন করে পরিস্থিতি তৈরি করেন, যাতে বাইরে থেকে জরেজ অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করতে পারেন। পরে শামীমার মোবাইলেও ভিডিওটি সংরক্ষণ করা হয়, যা উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার পর কুমিল্লার লাকসাম এলাকার বড় হিজরা পাড়া থেকে শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
এমআর/সবা
























