০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শান্তি কেড়েছে চট্টগ্রামের ৬ সন্ত্রাসী চক্র

নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, হাটহাজারী ও রাউজানসহ নগর ও আশপাশের এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নানান অপকর্মে জড়িয়েছে সন্ত্রাসীরা। এই চক্রে সাজ্জাদ আলী (বড় সাজ্জাদ), সাজ্জাদ হোসেন (ছোট সাজ্জাদ), রায়হান আলম, মোবারক হোসেন ইমন, শহিদুল ইসলাম প্রকাশ বুইস্যা এবং ইসমাইল হোসেন টেম্পুর নাম উঠে এসেছে।পুলিশ বলছে, এদের অনুসারীরা হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, দখলবাজিসহ নানান অপরাধে জড়িত। কয়েকজন কারাগারে থাকলেও বাইরে থাকা সদস্যরা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৪ সালে জামিনে বের হয়ে বিদেশে চলে যায় বড় সাজ্জাদ। এখন বিদেশ থেকে চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ডজনের বেশি মামলায় সে আসামি। বর্তমানে বড় সাজ্জাদ ভারতে অবস্থান করছে বলে ধারণা পুলিশের। গত ১৫ মার্চ ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আছে ছোট সাজ্জাদ। তার অনুসারীরা বায়েজিদ বোস্তামী ও চান্দগাঁও এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ চালাচ্ছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন, টার্গেট কিলিং ও চাঁদাবাজির ঘটনায় তার গ্রুপের নাম উঠে আসছে বার বার। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রায়হান ও ইমনের বিরুদ্ধে গত ১৪ মাসে ৯টি হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। সরওয়ার হোসেন বাবলা হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক মামলায় তাদের নাম এসেছে। রায়হানের বিরুদ্ধে মোট ১৬টি মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। দু’জনই এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। টার্গেট কিলিংয়ে দক্ষ হওয়ায় এলাকায় তারা আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। পাহাড়ি এলাকায় থাকা গোপন আস্তানা থেকে তারা চালাচ্ছে অপরাধমূলক কার্যক্রম। এছাড়া চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে শহিদুল ইসলাম বুইস্যা ও ইসমাইল হোসেন টেম্পুর গ্রুপ। ইসমাইল টেম্পু বর্তমানে কারাগারে থাকলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গত ৯ অক্টোবর বুইস্যার আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৮টি গুলি উদ্ধার করে। বুইস্যা পলাতক। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, ঘটনা ঘটিয়েই তারা পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। পাহাড়ের গহীনে আত্মগোপনে থাকে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আবার অপরাধ করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। সরওয়ার হত্যা মামলার বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার হলেও মূল পরিকল্পনাকারীদের কেউ কেউ বিদেশে থেকে নির্দেশ দিচ্ছে।সন্ত্রাসী রায়হানকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরওয়ার হত্যায় রায়হান ও বড় সাজ্জাদের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রায়হানকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তি কেড়েছে চট্টগ্রামের ৬ সন্ত্রাসী চক্র

আপডেট সময় : ০৭:১৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, হাটহাজারী ও রাউজানসহ নগর ও আশপাশের এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নানান অপকর্মে জড়িয়েছে সন্ত্রাসীরা। এই চক্রে সাজ্জাদ আলী (বড় সাজ্জাদ), সাজ্জাদ হোসেন (ছোট সাজ্জাদ), রায়হান আলম, মোবারক হোসেন ইমন, শহিদুল ইসলাম প্রকাশ বুইস্যা এবং ইসমাইল হোসেন টেম্পুর নাম উঠে এসেছে।পুলিশ বলছে, এদের অনুসারীরা হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, দখলবাজিসহ নানান অপরাধে জড়িত। কয়েকজন কারাগারে থাকলেও বাইরে থাকা সদস্যরা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৪ সালে জামিনে বের হয়ে বিদেশে চলে যায় বড় সাজ্জাদ। এখন বিদেশ থেকে চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ডজনের বেশি মামলায় সে আসামি। বর্তমানে বড় সাজ্জাদ ভারতে অবস্থান করছে বলে ধারণা পুলিশের। গত ১৫ মার্চ ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আছে ছোট সাজ্জাদ। তার অনুসারীরা বায়েজিদ বোস্তামী ও চান্দগাঁও এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ চালাচ্ছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন, টার্গেট কিলিং ও চাঁদাবাজির ঘটনায় তার গ্রুপের নাম উঠে আসছে বার বার। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রায়হান ও ইমনের বিরুদ্ধে গত ১৪ মাসে ৯টি হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। সরওয়ার হোসেন বাবলা হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক মামলায় তাদের নাম এসেছে। রায়হানের বিরুদ্ধে মোট ১৬টি মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। দু’জনই এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। টার্গেট কিলিংয়ে দক্ষ হওয়ায় এলাকায় তারা আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। পাহাড়ি এলাকায় থাকা গোপন আস্তানা থেকে তারা চালাচ্ছে অপরাধমূলক কার্যক্রম। এছাড়া চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে শহিদুল ইসলাম বুইস্যা ও ইসমাইল হোসেন টেম্পুর গ্রুপ। ইসমাইল টেম্পু বর্তমানে কারাগারে থাকলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গত ৯ অক্টোবর বুইস্যার আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৮টি গুলি উদ্ধার করে। বুইস্যা পলাতক। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, ঘটনা ঘটিয়েই তারা পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। পাহাড়ের গহীনে আত্মগোপনে থাকে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আবার অপরাধ করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। সরওয়ার হত্যা মামলার বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার হলেও মূল পরিকল্পনাকারীদের কেউ কেউ বিদেশে থেকে নির্দেশ দিচ্ছে।সন্ত্রাসী রায়হানকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরওয়ার হত্যায় রায়হান ও বড় সাজ্জাদের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রায়হানকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

এমআর/সবা