০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে দিনাজপুরে মানববন্ধন

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন ও দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনের দাবিতে দিনাজপুরসহ সারাদেশে একযোগে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন। রবিবার দুপুর ১২টায় হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সদস্য নুরুল আমিন, বেলাল হোসেনসহ অন্যান্যরা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের অষ্টম পে-স্কেলে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হন। ২০ থেকে ১৯ গ্রেডে যেখানেই মাত্র ২০০–৩০০ টাকা বৃদ্ধি হয়েছিল, সেখানে ১১ থেকে ১০ গ্রেডে পার্থক্য দাঁড়ায় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিছু ক্ষেত্রে এই পার্থক্য ১০ হাজার টাকাও ছাড়িয়ে যায়।

তারা বলেন, পে-স্কেল সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৫ সালের পর আর নতুন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়নি। সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা তখন থেকেই বৈষম্য দূরীকরণ ও নবম পে-স্কেলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

বক্তারা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কর্মচারীরা আশাবাদী ছিলেন। সরকার বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেও এখন বলা হচ্ছে বর্তমান সময়ে পে-স্কেল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়—যা কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে তারা মন্তব্য করেন।

অনলাইন বৈঠকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই দেশব্যাপী মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।

বক্তারা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে বৈষম্য নিরসন না করা হলে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন আরও কঠোর করা হবে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের পানিতে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া, বন্দিরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে দিনাজপুরে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৪:৫১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন ও দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনের দাবিতে দিনাজপুরসহ সারাদেশে একযোগে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন। রবিবার দুপুর ১২টায় হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সদস্য নুরুল আমিন, বেলাল হোসেনসহ অন্যান্যরা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের অষ্টম পে-স্কেলে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হন। ২০ থেকে ১৯ গ্রেডে যেখানেই মাত্র ২০০–৩০০ টাকা বৃদ্ধি হয়েছিল, সেখানে ১১ থেকে ১০ গ্রেডে পার্থক্য দাঁড়ায় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিছু ক্ষেত্রে এই পার্থক্য ১০ হাজার টাকাও ছাড়িয়ে যায়।

তারা বলেন, পে-স্কেল সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৫ সালের পর আর নতুন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়নি। সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা তখন থেকেই বৈষম্য দূরীকরণ ও নবম পে-স্কেলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

বক্তারা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কর্মচারীরা আশাবাদী ছিলেন। সরকার বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেও এখন বলা হচ্ছে বর্তমান সময়ে পে-স্কেল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়—যা কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে তারা মন্তব্য করেন।

অনলাইন বৈঠকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই দেশব্যাপী মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।

বক্তারা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে বৈষম্য নিরসন না করা হলে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন আরও কঠোর করা হবে।

এমআর/সবা