০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজস্থলীর ঝুলন্ত সেতুতে ঝুঁকির ছায়া, আতঙ্কে প্রতিদিনের যাতায়াত

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলার একমাত্র ঝুলন্ত সেতু—‘সিম্বল অব রাজস্থলী’—দীর্ঘদিন সংস্কারহীন থাকার কারণে প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কাপ্তাই নদীর ওপর ৫০–৬০ ফুট উঁচুর এই সেতুর কাঠের পাটাতন নরম হয়ে ভেঙে পড়েছে, কোথাও কোথাও পুরো অংশ নিচে নদীতে পড়ে গেছে। তবু স্থানীয়রা—বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা—ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হচ্ছেন।

স্থানীয়দের দাবি, বর্ষার মৌসুমে কাঠের পাটাতন পচে ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সেতুর তার ও সাপোর্টেও বয়সের ছাপ স্পষ্ট। একজন স্থানীয় বলেন, “নিচে যেন মৃত্যুই অপেক্ষা করছে।”

রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান জানিয়েছেন, সেতুর বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে সেতু সংস্কারের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং শিগগিরই স্থায়ী সংস্কারের আশা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা মনে করছেন, শুধু সাময়িক মেরামত নয়, প্রয়োজন একটি শক্ত ও স্থায়ী আধুনিক সেতু, যা এলাকার মানুষের নিরাপত্তা ও জীবিকার জন্য নির্ভরযোগ্য হবে। ঝুলন্ত সেতুটি এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং জনজীবনের নিরাপত্তার প্রতীক—তার বেহাল দশা বড় কোনো দুর্ঘটনার পূর্বাভাস দিচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নায়ক রিয়াজের মৃত্যুসংবাদ ফেসবুকে, যা জানাল পরিবার

রাজস্থলীর ঝুলন্ত সেতুতে ঝুঁকির ছায়া, আতঙ্কে প্রতিদিনের যাতায়াত

আপডেট সময় : ০৬:১৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলার একমাত্র ঝুলন্ত সেতু—‘সিম্বল অব রাজস্থলী’—দীর্ঘদিন সংস্কারহীন থাকার কারণে প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কাপ্তাই নদীর ওপর ৫০–৬০ ফুট উঁচুর এই সেতুর কাঠের পাটাতন নরম হয়ে ভেঙে পড়েছে, কোথাও কোথাও পুরো অংশ নিচে নদীতে পড়ে গেছে। তবু স্থানীয়রা—বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা—ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হচ্ছেন।

স্থানীয়দের দাবি, বর্ষার মৌসুমে কাঠের পাটাতন পচে ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সেতুর তার ও সাপোর্টেও বয়সের ছাপ স্পষ্ট। একজন স্থানীয় বলেন, “নিচে যেন মৃত্যুই অপেক্ষা করছে।”

রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান জানিয়েছেন, সেতুর বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে সেতু সংস্কারের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং শিগগিরই স্থায়ী সংস্কারের আশা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা মনে করছেন, শুধু সাময়িক মেরামত নয়, প্রয়োজন একটি শক্ত ও স্থায়ী আধুনিক সেতু, যা এলাকার মানুষের নিরাপত্তা ও জীবিকার জন্য নির্ভরযোগ্য হবে। ঝুলন্ত সেতুটি এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং জনজীবনের নিরাপত্তার প্রতীক—তার বেহাল দশা বড় কোনো দুর্ঘটনার পূর্বাভাস দিচ্ছে।