০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকির মুখে দেশের শিশুরা

  • আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে শিশুশ্রম
  • ঢাকার রাস্তায় নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি শিশুরা
  • প্রতি দশ শিশুর চারজনের রক্তে বিপজ্জনক মাত্রায় সিসা
  • শিশুদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ বাংলাদেশ

শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তবে নানা কারণে শিশুদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। যার ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক জীবন, হারিয়ে ফেলছে তাদের ভবিষ্যৎ। শিশুর অধিকার সুরক্ষায় ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শিশু অধিকার কনভেনশন বা সনদ (সিআরসি) গৃহীত হলেও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো এক গভীরতর শিশু-অধিকার সংকটের মধ্যে রয়েছে। নতুন প্রকাশিত জাতীয় তথ্য বলছে, শিশুদের মধ্যে বিষাক্ত ধাতুর সংক্রমণ, শিশুশ্রম, নিরাপদ পানি সংকট ও অপুষ্টির হার অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। হাজার হাজার শিশু এখনও প্রতিদিন অনিরাপদ অবস্থায় ঢাকার রাস্তায় রাত কাটাচ্ছে।
২০১৯ সালের ৬ দশকি ৮ শতাংশ থেকে শিশুশ্রম বেড়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ আরও ১০ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হয়েছে। বাড়ির ভেতর সহিংসতার মাত্রা একইভাবে ভয়াবহ। ৮৬ শতাংশ শিশু কোনও না কোনও ধরনের সহিংস শাসনের শিকার, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিচালিত মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস) ২০২৫ -এর প্রাথমিক তথ্য বলছে, দেশ কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি করলেও শিশুদের বেঁচে থাকা, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নির্ধারণী বহুক্ষেত্রে গুরুতরভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
এমআইসিএস জরিপ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পর থেকে ৬ বছরে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ১২ লাখ শিশু শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় প্রতি দশে চারজনের রক্তে বিপজ্জনক মাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে। এদিকে, জাতীয় তথ্যের বাইরেও ঢাকার বাস্তবতা আরও ভীতিকর। সরেজমিনে এক রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার, ফুটপাত, বাজারের পাশে, ব্যস্ত মোড়ে হাজারের বেশি বেশি শিশু ঘুমাতে দেখা গেছে। ফার্মগেটের খামারবাড়ি মোড়ে রাত ৪টায় ৩০ জনের বেশি শিশু ও পরিবারকে ফুটপাত ঘুমাতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে তিন মাস বয়সী শিশুও দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেক শিশু স্পষ্টতই অপুষ্ট; অনেকে নিয়মিত নেশা করার কথাও স্বীকার করেছে। পুলিশ জানায় একই শিশুদের বারবার আটক করলেও তাদের জন্য কোনও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই। বেসরকারি সংস্থা লিডোর নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই শিশুরাই জাতির সম্পদ। রাষ্ট্র ও এনজিওদের শক্তিশালী সমন্বয় না হলে তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। গবেষণা বলছে বাংলাদেশে ৩৪ লাখ শিশু রাস্তা-ভিত্তিক পরিবেশে বড় হচ্ছে হয়রানি, সহিংসতা, আবহাওয়ার ঝুঁকি ও শোষণের পুরোপুরি মুখোমুখি হয়ে। ইউনিসেফ সতর্ক করে বলছে বাংলাদেশ এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে। শিশুশ্রম, সিসাদূষণ, অপুষ্টি ও নিরাপদ পানি সংকট ইতোমধ্যে বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনছে। এ প্রসঙ্গে ফ্লাওয়ার্স বলেন, আমরা এখনও প্রতিটি শিশুর বাঁচা, বেড়ে ওঠা ও শেখার অধিকার নিশ্চিত করতে পারছি না। বাংলাদেশকে এখনই বিনিয়োগ বাড়াতে হবে; অন্যথায় লাখ লাখ শিশুকে পেছনে ফেলে উন্নত-আয়ের দেশের পথে এগোনো সম্ভব হবে না।
ইউনিসেফ সতর্ক করে বলছে, বাল্যবিবাহ ও নবজাতক মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও পুরোনো ও নতুন কিছু ঝুঁকির সমন্বয় “লাখো শিশুর ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছে।” এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এটি একইসঙ্গে আশা ও গভীর উদ্বেগের সময়। বাল্যবিবাহ ও শিশু মৃত্যুহার কমার মাধ্যমে আমরা ইতিবাচক সাফল্য দেখছি; কিন্তু সীসাদূষণ, সি-সেকশন বৃদ্ধি ও শিশুশ্রমের বিস্তার জাতির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করছে। দেশজুড়ে প্রায় ৬৩ হাজার পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা এই জরিপে দেখা গেছে ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩৮ শতাংশ শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের ৮ শতাংশের রক্তে নিরাপদ সীমার অনেক ওপরে সিসা রয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ঢাকায়, ৬৫ শতাংশ শিশু সিসা দূষণের শিকার। অবাক করার মতো বিষয় হলো ধনী পরিবারের শিশুদের মধ্যে সিসা-সংস্পর্শের হার সর্বোচ্চ; ঢাকায় আক্রান্ত শিশুদের অর্ধেকের বেশি ধনী শ্রেণির। এ বিষয়ে ফ্লাওয়ার্স বলেন, প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিস কসমেটিকস, বাসন, খেলনা শিশুদের বিষাক্ত করছে। বালবিবাহ ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৭ শতাংশ হলেও এখনও প্রায় অর্ধেক কন্যাশিশুর বিয়ে ১৮ বছর হওয়ার আগেই হয়ে যায়। মনোবিজ্ঞানী কাজী রুমানা হক বলেন, এমন পরিবেশে বড় হওয়া শিশু নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখাই বন্ধ করে দেয়। দারিদ্র্য, অপবাদ ও সহায়তার অভাব তাদের অনেককে মাদক, শোষণ বা অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আবু আহমেদ ফাইজুল কবীর বলেন, যদি আইনপ্রয়োগ, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জাল শক্তিশালী না করা হয়, তবে বাংলাদেশ একটি পুরো প্রজন্মকে শোষণের কাছে হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। এমআইসিএস জরিপের তথ্য বলছে—অগ্রগতি ও পশ্চাদপসরণের এক জটিল মিশ্রণ এখন বাংলাদেশে দৃশ্যমান। শিশু অপুষ্টির ‘ওয়েস্টিং’ হার ২০১৯ সালের ৯ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। মায়েদের মধ্যে অ্যানিমিয়ার হার ৫২ দশমিক ৮ শতাংশ। কিশোরী মাতৃত্বের হার বেড়ে প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে ৯২ জনে পৌঁছেছে। এসব কিশোরী মায়েদের নবজাতক জীবীতের হার প্রতি হাজোরে মাত্র ২২।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেট স্টেডিয়ামেই কোচ জাকির জানাজা সম্পন্ন

ঝুঁকির মুখে দেশের শিশুরা

আপডেট সময় : ০৭:২৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে শিশুশ্রম
  • ঢাকার রাস্তায় নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি শিশুরা
  • প্রতি দশ শিশুর চারজনের রক্তে বিপজ্জনক মাত্রায় সিসা
  • শিশুদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ বাংলাদেশ

শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তবে নানা কারণে শিশুদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। যার ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক জীবন, হারিয়ে ফেলছে তাদের ভবিষ্যৎ। শিশুর অধিকার সুরক্ষায় ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শিশু অধিকার কনভেনশন বা সনদ (সিআরসি) গৃহীত হলেও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো এক গভীরতর শিশু-অধিকার সংকটের মধ্যে রয়েছে। নতুন প্রকাশিত জাতীয় তথ্য বলছে, শিশুদের মধ্যে বিষাক্ত ধাতুর সংক্রমণ, শিশুশ্রম, নিরাপদ পানি সংকট ও অপুষ্টির হার অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। হাজার হাজার শিশু এখনও প্রতিদিন অনিরাপদ অবস্থায় ঢাকার রাস্তায় রাত কাটাচ্ছে।
২০১৯ সালের ৬ দশকি ৮ শতাংশ থেকে শিশুশ্রম বেড়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ আরও ১০ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হয়েছে। বাড়ির ভেতর সহিংসতার মাত্রা একইভাবে ভয়াবহ। ৮৬ শতাংশ শিশু কোনও না কোনও ধরনের সহিংস শাসনের শিকার, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিচালিত মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস) ২০২৫ -এর প্রাথমিক তথ্য বলছে, দেশ কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি করলেও শিশুদের বেঁচে থাকা, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নির্ধারণী বহুক্ষেত্রে গুরুতরভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
এমআইসিএস জরিপ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পর থেকে ৬ বছরে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ১২ লাখ শিশু শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় প্রতি দশে চারজনের রক্তে বিপজ্জনক মাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে। এদিকে, জাতীয় তথ্যের বাইরেও ঢাকার বাস্তবতা আরও ভীতিকর। সরেজমিনে এক রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার, ফুটপাত, বাজারের পাশে, ব্যস্ত মোড়ে হাজারের বেশি বেশি শিশু ঘুমাতে দেখা গেছে। ফার্মগেটের খামারবাড়ি মোড়ে রাত ৪টায় ৩০ জনের বেশি শিশু ও পরিবারকে ফুটপাত ঘুমাতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে তিন মাস বয়সী শিশুও দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেক শিশু স্পষ্টতই অপুষ্ট; অনেকে নিয়মিত নেশা করার কথাও স্বীকার করেছে। পুলিশ জানায় একই শিশুদের বারবার আটক করলেও তাদের জন্য কোনও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই। বেসরকারি সংস্থা লিডোর নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই শিশুরাই জাতির সম্পদ। রাষ্ট্র ও এনজিওদের শক্তিশালী সমন্বয় না হলে তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। গবেষণা বলছে বাংলাদেশে ৩৪ লাখ শিশু রাস্তা-ভিত্তিক পরিবেশে বড় হচ্ছে হয়রানি, সহিংসতা, আবহাওয়ার ঝুঁকি ও শোষণের পুরোপুরি মুখোমুখি হয়ে। ইউনিসেফ সতর্ক করে বলছে বাংলাদেশ এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে। শিশুশ্রম, সিসাদূষণ, অপুষ্টি ও নিরাপদ পানি সংকট ইতোমধ্যে বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনছে। এ প্রসঙ্গে ফ্লাওয়ার্স বলেন, আমরা এখনও প্রতিটি শিশুর বাঁচা, বেড়ে ওঠা ও শেখার অধিকার নিশ্চিত করতে পারছি না। বাংলাদেশকে এখনই বিনিয়োগ বাড়াতে হবে; অন্যথায় লাখ লাখ শিশুকে পেছনে ফেলে উন্নত-আয়ের দেশের পথে এগোনো সম্ভব হবে না।
ইউনিসেফ সতর্ক করে বলছে, বাল্যবিবাহ ও নবজাতক মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও পুরোনো ও নতুন কিছু ঝুঁকির সমন্বয় “লাখো শিশুর ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছে।” এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এটি একইসঙ্গে আশা ও গভীর উদ্বেগের সময়। বাল্যবিবাহ ও শিশু মৃত্যুহার কমার মাধ্যমে আমরা ইতিবাচক সাফল্য দেখছি; কিন্তু সীসাদূষণ, সি-সেকশন বৃদ্ধি ও শিশুশ্রমের বিস্তার জাতির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করছে। দেশজুড়ে প্রায় ৬৩ হাজার পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা এই জরিপে দেখা গেছে ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩৮ শতাংশ শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের ৮ শতাংশের রক্তে নিরাপদ সীমার অনেক ওপরে সিসা রয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ঢাকায়, ৬৫ শতাংশ শিশু সিসা দূষণের শিকার। অবাক করার মতো বিষয় হলো ধনী পরিবারের শিশুদের মধ্যে সিসা-সংস্পর্শের হার সর্বোচ্চ; ঢাকায় আক্রান্ত শিশুদের অর্ধেকের বেশি ধনী শ্রেণির। এ বিষয়ে ফ্লাওয়ার্স বলেন, প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিস কসমেটিকস, বাসন, খেলনা শিশুদের বিষাক্ত করছে। বালবিবাহ ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৭ শতাংশ হলেও এখনও প্রায় অর্ধেক কন্যাশিশুর বিয়ে ১৮ বছর হওয়ার আগেই হয়ে যায়। মনোবিজ্ঞানী কাজী রুমানা হক বলেন, এমন পরিবেশে বড় হওয়া শিশু নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখাই বন্ধ করে দেয়। দারিদ্র্য, অপবাদ ও সহায়তার অভাব তাদের অনেককে মাদক, শোষণ বা অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আবু আহমেদ ফাইজুল কবীর বলেন, যদি আইনপ্রয়োগ, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জাল শক্তিশালী না করা হয়, তবে বাংলাদেশ একটি পুরো প্রজন্মকে শোষণের কাছে হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। এমআইসিএস জরিপের তথ্য বলছে—অগ্রগতি ও পশ্চাদপসরণের এক জটিল মিশ্রণ এখন বাংলাদেশে দৃশ্যমান। শিশু অপুষ্টির ‘ওয়েস্টিং’ হার ২০১৯ সালের ৯ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। মায়েদের মধ্যে অ্যানিমিয়ার হার ৫২ দশমিক ৮ শতাংশ। কিশোরী মাতৃত্বের হার বেড়ে প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে ৯২ জনে পৌঁছেছে। এসব কিশোরী মায়েদের নবজাতক জীবীতের হার প্রতি হাজোরে মাত্র ২২।