১২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরএনবির পোশাক ক্রয়ে স্যাম্পল শর্ত নিয়ে অভিযোগ

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) পোশাক ক্রয়ে ই-জিপি টেন্ডারে পিপিআর আইন–২০২৫ লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরাসরি স্যাম্পল জমা দেওয়ার কোনো শর্ত নেই, কিন্তু আরএনবি টেন্ডারে তা যুক্ত করায় ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, স্যাম্পল জমা দিতে হলে নির্দিষ্ট দপ্তরে শারীরিকভাবে উপস্থিত হতে হয়, যা স্থানীয় প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীর কারণে অনেকেই করতে পারছেন না। ফলে প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ায় সরকারি রাজস্ব ও ক্রয়স্বচ্ছতা ঝুঁকিতে পড়ছে।

গত ৫ নভেম্বর আরএনবির পক্ষ থেকে ই-জিপি দরপত্রে নেভি ব্লু কাপড় (২৪৮৬ মিটার), জলপাই সবুজ কাপড় (৩২১১ মিটার), বুট–জুতা (৪৯১ জোড়া), কেডস–মোজা ও ব্যারেট ক্যাপসহ পাঁচটি পণ্যের জন্য প্রায় ৬৬ লাখ টাকার ক্রয় পরিকল্পনা দেওয়া হয়। সেখানে চারটি বিশেষ শর্ত রাখা হয়, যার একটি হলো প্রতিটি মালামালের স্যাম্পল দরপত্র খোলার আগে দপ্তরে জমা দিতে হবে, না হলে দরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

তবে রেলওয়ে ওয়ার্কস ম্যানেজারের পাহাড়তলী টেন্ডারে একই প্রতিষ্ঠানের আওতায় স্যাম্পল জমা দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। একই প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন টেন্ডারে ভিন্ন নিয়ম প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরএনবি পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট আশাবুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এখন ঢাকা ও চট্টগ্রাম কমান্ড্যান্ট অফিসে ওপেন টেন্ডার জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে, যাতে কোনো ঠিকাদার বাধার মুখে না পড়ে। তিনি বলেন, “স্যাম্পল দেখার উদ্দেশ্য—পোশাকের গুণগত মান নিশ্চিত করা।”

তবে কয়েকজন ঠিকাদার স্যাম্পল জমা দিতে সমস্যার কথা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে কেউ লিখিত অভিযোগ জমা দিতে সাহস পাচ্ছেন না। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মোঃ সুবক্তগীনকে এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি পাওয়া যায়নি।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

আরএনবির পোশাক ক্রয়ে স্যাম্পল শর্ত নিয়ে অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) পোশাক ক্রয়ে ই-জিপি টেন্ডারে পিপিআর আইন–২০২৫ লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরাসরি স্যাম্পল জমা দেওয়ার কোনো শর্ত নেই, কিন্তু আরএনবি টেন্ডারে তা যুক্ত করায় ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, স্যাম্পল জমা দিতে হলে নির্দিষ্ট দপ্তরে শারীরিকভাবে উপস্থিত হতে হয়, যা স্থানীয় প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীর কারণে অনেকেই করতে পারছেন না। ফলে প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ায় সরকারি রাজস্ব ও ক্রয়স্বচ্ছতা ঝুঁকিতে পড়ছে।

গত ৫ নভেম্বর আরএনবির পক্ষ থেকে ই-জিপি দরপত্রে নেভি ব্লু কাপড় (২৪৮৬ মিটার), জলপাই সবুজ কাপড় (৩২১১ মিটার), বুট–জুতা (৪৯১ জোড়া), কেডস–মোজা ও ব্যারেট ক্যাপসহ পাঁচটি পণ্যের জন্য প্রায় ৬৬ লাখ টাকার ক্রয় পরিকল্পনা দেওয়া হয়। সেখানে চারটি বিশেষ শর্ত রাখা হয়, যার একটি হলো প্রতিটি মালামালের স্যাম্পল দরপত্র খোলার আগে দপ্তরে জমা দিতে হবে, না হলে দরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

তবে রেলওয়ে ওয়ার্কস ম্যানেজারের পাহাড়তলী টেন্ডারে একই প্রতিষ্ঠানের আওতায় স্যাম্পল জমা দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। একই প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন টেন্ডারে ভিন্ন নিয়ম প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরএনবি পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট আশাবুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এখন ঢাকা ও চট্টগ্রাম কমান্ড্যান্ট অফিসে ওপেন টেন্ডার জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে, যাতে কোনো ঠিকাদার বাধার মুখে না পড়ে। তিনি বলেন, “স্যাম্পল দেখার উদ্দেশ্য—পোশাকের গুণগত মান নিশ্চিত করা।”

তবে কয়েকজন ঠিকাদার স্যাম্পল জমা দিতে সমস্যার কথা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে কেউ লিখিত অভিযোগ জমা দিতে সাহস পাচ্ছেন না। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মোঃ সুবক্তগীনকে এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি পাওয়া যায়নি।

এমআর/সবা