চট্টগ্রামের ট্রাভেল এজেন্সীর মালিকরা মানববন্ধনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্প্রতি জারিকৃত “ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ খসড়া আইন–২০২৫” বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় ব্যবসা পরিচালনা করলেও হঠাৎ প্রণীত এই অধ্যাদেশ ট্রাভেল ও পর্যটন খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মানববন্ধনে ট্রাভেল এজেন্সির জন্য ১০ লাখ টাকা জামানতের প্রস্তাব, এক এজেন্সির সঙ্গে অন্য এজেন্সির ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং জেল-জরিমানা বৃদ্ধির মতো ধারা বিশেষভাবে ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বক্তারা বলেন, এই ধারা বাস্তবায়িত হলে লাখো মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
অফলাইন ট্রাভেল এজেন্সির জন্য জামানতের প্রস্তাব বাতিল করতে হবে, এক এজেন্সির সঙ্গে টিকেট ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ধারা বাতিল করতে হবে এবং জেল-জরিমানা বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, দেশের ট্রাভেল ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান রক্ষায় ব্যবসাবান্ধব ও ন্যায্য আইন প্রণয়ন জরুরি।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আটাবের সাবেক ইভিপি এইচ.এম. মুজিবুল হক শাকুর। বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, আবু তাহের, শরিয়ত উল্ল্যা শহিদ, আজাহারুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুল খালেক, আব্দুল মালেক, ওসমান গনী, এস এম মাসুদ, আব্দুর রহমান, মোহাম্মদ রফিক, হেমায়েত উদ্দীন, গিয়াস উদ্দীন, মোহাম্মদ ইসমাইল, নাসির উদ্দীন, আবু বক্কর তালুকদার, আব্দুল মান্নান, এম এইচ মহিউদ্দীন, মাসুদ করিম, ফারুক আহমদ প্রমুখ। চট্টগ্রামের প্রায় দুই শত ট্রাভেল এজেন্সীর মালিক মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা অবিলম্বে অধ্যাদেশ ‘২৫ বাতিলের দাবি জানান, অন্যথায় আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন।
এমআর/সবা
























