০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুশফিকের শততম টেস্ট জয়ে রাঙাল বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিমের ঐতিহাসিক শততম টেস্টে জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল চতুর্থ দিনেই। জয়ের জন্য শেষ দিনে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ উইকেটের। তবে আইরিশ ব্যাটার কার্টিস ক্যাম্ফারের ইস্পাত-কঠিন প্রতিরোধে সকালের সেশনে অপেক্ষা বাড়ে স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত সব বাধা টপকে মিরপুর টেস্টে ২১৭ রানের বিশাল জয়ে মুশফিককে উপযুক্ত উপহারই দিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নিল টাইগাররা।

৫০৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম ও শেষ দিনে ক্যাম্ফারের লড়াইয়ে একসময় ড্রয়ের স্বপ্নও দেখছিল সফরকারীরা। এক প্রান্ত আগলে রেখে ২৫৯ বল মোকাবিলায় ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ক্যাম্ফার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন গ্যাভিন হোয়ে (১০৪ বলে ৩৭)।

তবে দ্বিতীয় সেশনের মাঝপথে জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশি স্পিনাররা। ক্যাম্ফারকে অপর প্রান্তে রেখে একে একে বাকি সব উইকেট তুলে নিলে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে স্পিন-বিষ ছড়িয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ। দুজনেই শিকার করেছেন ৪টি করে উইকেট।

এর আগে পুরো ম্যাচজুড়েই ছিল বাংলাদেশের একচ্ছত্র আধিপত্য। নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪৭৬ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। জবাবে তাইজুল ইসলামের ৪ উইকেটের সুবাদে আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৬৫ রানে।

২য় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৯৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যেখানে মাহমুদুল হাসান জয় ৬০, সাদমান ইসলাম ৭৮ এবং মুমিনুল হক ৮৭ রান করেন। শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী

মুশফিকের শততম টেস্ট জয়ে রাঙাল বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

মুশফিকুর রহিমের ঐতিহাসিক শততম টেস্টে জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল চতুর্থ দিনেই। জয়ের জন্য শেষ দিনে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ উইকেটের। তবে আইরিশ ব্যাটার কার্টিস ক্যাম্ফারের ইস্পাত-কঠিন প্রতিরোধে সকালের সেশনে অপেক্ষা বাড়ে স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত সব বাধা টপকে মিরপুর টেস্টে ২১৭ রানের বিশাল জয়ে মুশফিককে উপযুক্ত উপহারই দিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নিল টাইগাররা।

৫০৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম ও শেষ দিনে ক্যাম্ফারের লড়াইয়ে একসময় ড্রয়ের স্বপ্নও দেখছিল সফরকারীরা। এক প্রান্ত আগলে রেখে ২৫৯ বল মোকাবিলায় ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ক্যাম্ফার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন গ্যাভিন হোয়ে (১০৪ বলে ৩৭)।

তবে দ্বিতীয় সেশনের মাঝপথে জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশি স্পিনাররা। ক্যাম্ফারকে অপর প্রান্তে রেখে একে একে বাকি সব উইকেট তুলে নিলে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে স্পিন-বিষ ছড়িয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ। দুজনেই শিকার করেছেন ৪টি করে উইকেট।

এর আগে পুরো ম্যাচজুড়েই ছিল বাংলাদেশের একচ্ছত্র আধিপত্য। নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪৭৬ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। জবাবে তাইজুল ইসলামের ৪ উইকেটের সুবাদে আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৬৫ রানে।

২য় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৯৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যেখানে মাহমুদুল হাসান জয় ৬০, সাদমান ইসলাম ৭৮ এবং মুমিনুল হক ৮৭ রান করেন। শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

এমআর/সবা