খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা অডিটোরিয়াম সম্মেলন কক্ষে লোকাল ভলান্টিয়ার মিডিয়েটরস ফোরাম (LVMF) ও যুব ফোরামের যৌথ আয়োজনে, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন অর্থায়নে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ইউএনডিপি সমর্থনে এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও LVMF সভাপতি চন্দ্র রঞ্জন চাকমা। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দীঘিনালা থানা প্রতিনিধি পুলিশ পরিদর্শন মো. ইউসুফ, ত্রিদীপ রায় পোমাং, বাবুছড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা, কবাখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা সিএইচটি ইউএনডিপি প্রতিনিধি অংক্রুসা মারমা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, নারী ও মেয়ে শিশুদের প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা বন্ধ, আইন প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ঝুঁকি কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনের সচেতনতা কার্যক্রম প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পালিত হয়। এটি ১৯৯১ সালে Women’s Global Leadership Institute-এর উদ্যোগে শুরু হয় এবং বর্তমানে Center for Women’s Global Leadership এর সমন্বয়ে সারা বিশ্বে পরিচালিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের UNITE by 2030 ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এই বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। বর্তমান থিম “নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা নির্মূল: ২০২৫”। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সহিংসতার নতুন রূপ ডিজিটাল সহিংসতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অনলাইনে অপমান, হয়রানি, হ্যাকিং ও ব্যক্তিগত ছবি/ভিডিওর অপব্যবহারের মাধ্যমে নারীর নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক অঞ্চলে নারী ও মেয়ে শিশুদের অধিকার সুরক্ষা কার্যক্রমে আরও জোর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নীরব সহিংসতা, লিঙ্গ বৈষম্য, ক্ষতিকর সামাজিক রীতি ও সম্পদের অভাব এই সমস্যা আরও জটিল করে তুলেছে।
এমআর/সবা




















