মৃত্যুকূপ নামে পরিচিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই এলাকা চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে ‘লাল পতাকা’ সতর্কতা জারি করা হলেও চালকেরা বেপরোয়া গতিতে চলছে গাড়ি।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) জাঙ্গালিয়া অংশের ৯০০ মিটার সড়ক ৪ লেনে উন্নীত এবং মাঝখানে ডিভাইডার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া সাতকানিয়া রাস্তার মাথা এলাকা থেকে জাঙ্গালিয়া পর্যন্ত মহাসড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্ত করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
জাঙ্গালিয়ার দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে — ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক, দুইপাশে ঘন বন, লবণবাহী ট্রাক থেকে পানি, অপ্রশস্ত ও ঢালু সড়ক, বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং, অপ্রশিক্ষিত চালক, গাড়ির এলইডি হেডলাইট, অবৈধ যানবাহন চলাচল এবং অতিরিক্ত ওজন।
চালকরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ হওয়ায় তাদের ভয়ে এই এলাকায় যাতায়াত করতে কষ্ট হয়। সড়ক উন্নীত হলে দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ, প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত সংকট কমবে এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করা হলে মানুষের জীবন নিরাপদ হবে এবং পণ্য ও যাত্রী পরিবহন দ্রুত ও নিরাপদ হবে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহউদ্দীন চৌধুরী জানিয়েছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধু জাঙ্গালিয়া নয়, মিঠার দোকান ও আজিজনগর এলাকাও দুর্ঘটনাপ্রবণ। রাতের বেলায় লবণ পরিবহনের কারণে সড়ক পিচ্ছিল হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকবাহী যানবাহনের চালক এই সড়ক সম্পর্কে অভিজ্ঞ না হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে দুর্ঘটনা কমাতে সড়ক ছয় লেনে উন্নীত করা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দক্ষ ড্রাইভিং নিশ্চিত করা জরুরি।
এমআর/সবা





















