ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়তিতে হার লেখা হয়ে গিয়েছিল। চতুর্থ ইনিংসে কাঁধে ৫৩০ রানের বিশাল বোঝা। চতুর্থ দিনই ৭২ রানে চার উইকেট পড়ে গেছে। খোলা পথের হিসেব সোজা। পঞ্চম দিনের পুরোটা ব্যাটিং করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে লোয়ার মিডল আর লোয়ারের ব্যাটিং নিয়ে পুরো দিন ব্যাটিং করা যা তা কথা নয়। সেটাই করেছে ক্যারিবীয়রা। জাস্টিন গ্রিভসের সঙ্গে শাই হোপের পর কেমার রোচ দুর্দান্ত ব্যাটিং করে অভাবনীয় টেস্ট ড্র করেছে।
গ্রিভস অসাধারণ এক ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৩৮৮ বল খেলে ২০২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দিন শেষ করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন। ১৯ চারে সাজিয়েছেন ইনিংস। গ্রিভসের মতো রোচও একের পর এক বল খেলে গেছেন। তিনি ৫৮ রান করলেও ২৩৩ বল খেলেছেন। তারা দু’জন ৪০৯ বলের মুখোমুখি হয়েছেন। অর্থাৎ পঞ্চম দিনের ৬৮ ওভার এই দু’জনই ব্যাটিং করেছেন।
টেস্টে যে এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটে না; ছোট্ট কয়েকটা তথ্য সংখ্যায় তা বোঝা যাবে। গ্রিভস ও রোচ সপ্তম উইকেটে ১৮০ রান যোগ করেন। ৩৫ বছর আগে শচীন ও প্রভাকরের সপ্তম উইকেটে ১৬০ রানের জুটি ভেঙেছেন তারা। চতুর্থ ইনিংসে ক্যারিবীয়রা ১৬৩.৩ ওভার ব্যাটিং করেছে। ১৯৩০ সালের পর ক্যারিবীয়দের যা সবচেয়ে দীর্ঘ চতুর্থ ইনিংস। পাঁচ দিনের টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ৬ উইকেটে তাদের ৪৫৭ রানও ইতিহাসের সর্বোচ্চ।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৩১ রানে অলআউট হয়েছিল। কেন উইলিয়ামসন ৫২ ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ৪৭ রান যোগ করেছিলেন। কেমার রোচ, জাইডেন সিলস, গ্রিভস ও শিল্ডস দুটি করে উইকেট নিয়েছিলেন। জবাবে ক্যারিবীয়রা ৩ উইকেটে ১০০ রান তুলেও ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। কিউইরা ৬৪ রানের লিড নেয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে ৪৬৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ওপেনার টম লাথাম ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। রাচিন রবীন্দ্র খেলেন ১৭৬ রানের ইনিংস। রোচ ৫ উইকেট তুলে নেন। ৫৩০ রানের লক্ষ্যে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭২ রানে ৪ উইকেট হারায়। সেখান থেকে শেই হোপ ও গ্রিভস ১৯৬ রান যোগ করেন। হোপ ১৪০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। বাকি সময়টা গ্রিভস ও রোচ পাড়ি দিয়ে ম্যাচ ড্র করেন।
এমআর/সবা

























