০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে, শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়

টানা পাঁচদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে অবস্থান করায় হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পৌষের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলের এই জেলা হাড়কাঁপানো শীতের কবলে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে, শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট বেড়েছে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায়ও ছিল একই তাপমাত্রা। গত পাঁচদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০–১০ দশমিক ৬ ডিগ্রির মধ্যেই অবস্থান করছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনো পঞ্চগড়েই রেকর্ড হচ্ছে।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, ভোরের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো মিললেও উত্তরীয় বাতাসে মানুষ কাঁপছে শীতে। জীবিকার তাগিদে চা বাগান, পাথর কোয়ারি, কৃষিজমি ও বিভিন্ন খেটে খাওয়া মানুষের কাজে যেতে হচ্ছে কষ্ট সত্ত্বেও। পাথর শ্রমিকরা জানান, দিনের রোদ থাকলেও সকাল-সন্ধ্যায় শীতের দাপট ভয়াবহ। অনেকে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ভ্যানচালকদের অভিযোগ, ঠান্ডার কারণে যাত্রী তুলতে পারছেন না, আয় কমে পরিবার নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দিনমজুরদের অবস্থাও একই রকম।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার থেকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে থাকায় এলাকা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেন তিনি।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, হিমালয়ের নিকটবর্তী অঞ্চল হওয়ায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষের জন্য অতিরিক্ত শীতবস্ত্রের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে, শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়

আপডেট সময় : ০৫:২৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

টানা পাঁচদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে অবস্থান করায় হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পৌষের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলের এই জেলা হাড়কাঁপানো শীতের কবলে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে, শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট বেড়েছে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায়ও ছিল একই তাপমাত্রা। গত পাঁচদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০–১০ দশমিক ৬ ডিগ্রির মধ্যেই অবস্থান করছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনো পঞ্চগড়েই রেকর্ড হচ্ছে।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, ভোরের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো মিললেও উত্তরীয় বাতাসে মানুষ কাঁপছে শীতে। জীবিকার তাগিদে চা বাগান, পাথর কোয়ারি, কৃষিজমি ও বিভিন্ন খেটে খাওয়া মানুষের কাজে যেতে হচ্ছে কষ্ট সত্ত্বেও। পাথর শ্রমিকরা জানান, দিনের রোদ থাকলেও সকাল-সন্ধ্যায় শীতের দাপট ভয়াবহ। অনেকে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ভ্যানচালকদের অভিযোগ, ঠান্ডার কারণে যাত্রী তুলতে পারছেন না, আয় কমে পরিবার নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দিনমজুরদের অবস্থাও একই রকম।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার থেকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে থাকায় এলাকা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেন তিনি।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, হিমালয়ের নিকটবর্তী অঞ্চল হওয়ায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষের জন্য অতিরিক্ত শীতবস্ত্রের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এমআর/সবা