০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সায়মন ওভারসীজের এয়ার টিকিট কেলেঙ্কারি

অভিনব কায়দায় ১৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

দেশে নানা উদ্যোগের পরও থামছে না বিমান ভ্রমণ খাতের টিকিট কেলেঙ্কারি। এবার সায়মন ওভারসীজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্রস বর্ডারে ১৮৯৪টি এয়ার টিকিট বিক্রি করে অন্তত ১৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।

মন্ত্রণালয় ও ট্রাভেল এজেন্ট সূত্র জানায়, সায়মন ওভারসীজ ঢাকা থেকে নিজেদের গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস) আইডি ব্যবহার করে বিদেশি ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করছিল। এসব টিকিটের মূল্য বিদেশে পরিশোধ হলেও বৈধ পন্থায় টাকা দেশে ফেরত আসেনি। ফলে বিষয়টি সরাসরি অর্থ পাচারের শামিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসফিয়া জান্নাত সালেহ–এর কাছে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়—২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে মোট ১৮৯৪টি টিকিট বিক্রি করা হয়, যার মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা; কিন্তু এ অর্থ দেশের রিজার্ভে ফেরত আসেনি।

ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ীরা জানান, জিডিএস আইডি কেবল বাংলাদেশে বসে ব্যবহার করা যায় এবং আইএটিএ নিয়ম অনুযায়ী টিকিট বিক্রির অর্থ রেমিট্যান্সে দেশে ফেরানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু সায়মন ওভারসীজ তাদের আইডি বিদেশি এজেন্টদের ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে টিকিট বিক্রি করিয়েছে এবং সেই অর্থ বিদেশেই আটকে গেছে—যা স্পষ্ট অর্থ পাচার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসফিয়া জান্নাত সালেহ ছিলেন আটাব–এর সাবেক মহাসচিব। পদমর্যাদার প্রভাব খাটিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ট্রাভেল খাতে অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটাব কমিটি বাতিল হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে টিকিট কেলেঙ্কারি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আরও জোরালো হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সায়মন ওভারসীজের এয়ার টিকিট কেলেঙ্কারি

অভিনব কায়দায় ১৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশে নানা উদ্যোগের পরও থামছে না বিমান ভ্রমণ খাতের টিকিট কেলেঙ্কারি। এবার সায়মন ওভারসীজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্রস বর্ডারে ১৮৯৪টি এয়ার টিকিট বিক্রি করে অন্তত ১৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।

মন্ত্রণালয় ও ট্রাভেল এজেন্ট সূত্র জানায়, সায়মন ওভারসীজ ঢাকা থেকে নিজেদের গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস) আইডি ব্যবহার করে বিদেশি ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করছিল। এসব টিকিটের মূল্য বিদেশে পরিশোধ হলেও বৈধ পন্থায় টাকা দেশে ফেরত আসেনি। ফলে বিষয়টি সরাসরি অর্থ পাচারের শামিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসফিয়া জান্নাত সালেহ–এর কাছে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়—২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে মোট ১৮৯৪টি টিকিট বিক্রি করা হয়, যার মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা; কিন্তু এ অর্থ দেশের রিজার্ভে ফেরত আসেনি।

ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ীরা জানান, জিডিএস আইডি কেবল বাংলাদেশে বসে ব্যবহার করা যায় এবং আইএটিএ নিয়ম অনুযায়ী টিকিট বিক্রির অর্থ রেমিট্যান্সে দেশে ফেরানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু সায়মন ওভারসীজ তাদের আইডি বিদেশি এজেন্টদের ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে টিকিট বিক্রি করিয়েছে এবং সেই অর্থ বিদেশেই আটকে গেছে—যা স্পষ্ট অর্থ পাচার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসফিয়া জান্নাত সালেহ ছিলেন আটাব–এর সাবেক মহাসচিব। পদমর্যাদার প্রভাব খাটিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ট্রাভেল খাতে অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটাব কমিটি বাতিল হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে টিকিট কেলেঙ্কারি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আরও জোরালো হয়।