০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতন

মার্কিন-ভারত বাণিজ্য আলোচনায় দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা এবং বন্ড বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগের ধারাবাহিক বেরিয়ে যাওয়ার ফলে সোমবার ভারতীয় রুপি রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির দাম ০.৩ শতাংশ কমে ৯০.৭৪-এ দাঁড়িয়েছে, যা ১২ ডিসেম্বরের পূর্বের সর্বনিম্ন ৯০.৫৫-কে ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ দেশটির বৃহত্তম রপ্তানি বাজারে আঘাত হেনেছে। এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতীয় ইকুইটির আকর্ষণ কমেছে।

২০২৫ সালে দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ইতিমধ্যে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ভারতীয় শেয়ার বিক্রি করেছেন, যা ভারতকে পোর্টফোলিও বহির্গমনের দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাজারগুলোর একটি করে তুলেছে। ডিসেম্বর মাসে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বন্ডও বিক্রি হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ভারতের পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ৩২ বিলিয়ন ডলারে নামতে পারে, যা অক্টোবরে রেকর্ড ৪১ বিলিয়ন ডলারের থেকে কম। ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের ট্রেজারি প্রধান অনিল বানসালি বলেন, রুপির পরবর্তী সমর্থন স্তর ৯০.৮০; এরপর ৯১ থেকে ৯২ পর্যন্ত যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি জানান, “আরবিআই বাজারকে মূল্য নির্ধারণের জন্য ছেড়ে দিয়েছে এবং কেবল অতিরিক্ত অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করছে।”

উল্লেখ্য, ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬৮৭.৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের শুরুতে বছরের সর্বোচ্চ ৭০৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী

ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতন

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

মার্কিন-ভারত বাণিজ্য আলোচনায় দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা এবং বন্ড বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগের ধারাবাহিক বেরিয়ে যাওয়ার ফলে সোমবার ভারতীয় রুপি রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির দাম ০.৩ শতাংশ কমে ৯০.৭৪-এ দাঁড়িয়েছে, যা ১২ ডিসেম্বরের পূর্বের সর্বনিম্ন ৯০.৫৫-কে ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ দেশটির বৃহত্তম রপ্তানি বাজারে আঘাত হেনেছে। এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতীয় ইকুইটির আকর্ষণ কমেছে।

২০২৫ সালে দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ইতিমধ্যে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ভারতীয় শেয়ার বিক্রি করেছেন, যা ভারতকে পোর্টফোলিও বহির্গমনের দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাজারগুলোর একটি করে তুলেছে। ডিসেম্বর মাসে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বন্ডও বিক্রি হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ভারতের পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ৩২ বিলিয়ন ডলারে নামতে পারে, যা অক্টোবরে রেকর্ড ৪১ বিলিয়ন ডলারের থেকে কম। ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের ট্রেজারি প্রধান অনিল বানসালি বলেন, রুপির পরবর্তী সমর্থন স্তর ৯০.৮০; এরপর ৯১ থেকে ৯২ পর্যন্ত যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি জানান, “আরবিআই বাজারকে মূল্য নির্ধারণের জন্য ছেড়ে দিয়েছে এবং কেবল অতিরিক্ত অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করছে।”

উল্লেখ্য, ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬৮৭.৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের শুরুতে বছরের সর্বোচ্চ ৭০৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম।

এমআর/সবা