০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদির লাশ দেশে ফেরায় ঢাকাজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা

সিঙ্গাপুর থেকে শহীদ বিপ্লবী শরীফ ওসমান হাদির লাশ দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ, র‍্যাব, আনসার, বিজিবি, এপিবিএন ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ঢাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয় কঠোর নিরাপত্তাবলয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে হাদি’র লাশ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাউছার মাহমুদ জানান, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে হাদির লাশ বের করা হয়।

লাশ পৌঁছানোর আগেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয় টার্মিনাল, প্রবেশপথ ও আশপাশের সড়কজুড়ে। রানওয়ে থেকে শুরু করে প্রধান ফটক পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টে সশস্ত্র পাহারা জোরদার করা হয়। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক সড়কগুলোয় বসানো হয় অস্থায়ী চেকপোস্ট।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে সাঁজোয়া যান ও এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) মোতায়েন করে শক্তিশালী নিরাপত্তা জাল তৈরি করা হয়। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন। যাত্রী ও সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা থাকলেও সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের ওপর ছিল কড়া নজরদারি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ড্রোন ব্যবহার করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ ও শোকাহত জনতাকে শান্ত থাকার এবং বাহিনীকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় বিশেষায়িত ইউনিটগুলো স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে শহীদ হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে শোকের আবহ তৈরি হয়। শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে হাজার হাজার শোকাহত ছাত্র-জনতা। হাদির লাশ দেশে ফেরার খবরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে শোক প্রকাশ ও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব কর্মসূচিকে ঘিরে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগাম সতর্ক অবস্থান নেয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা জানায়, নগরের প্রবেশপথসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক বিশেষ টিম মাঠে সক্রিয় রয়েছে। জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।

র‍্যাব রাজধানীর কৌশলগত পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে মোবাইল টহল জোরদার করে। বিমানবন্দর থেকে লাশ বহনের সম্ভাব্য রুটগুলোতে র‍্যাবের বিশেষ নজরদারি ছিল। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সহায়ক শক্তি হিসেবে মাঠে অবস্থান করেন।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, শাহজালাল বিমানবন্দর, কারওয়ান বাজার ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিপুলসংখ্যক বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির বিশেষ স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়।

দেশে আনার পর শহীদ ওসমান হাদির লাশ শেরেবাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত করা হয়।

ডিএমপির মুখপাত্র ও উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, নাশকতার কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকির তথ্য নেই, তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। শোকাহত মানুষের আবেগকে সম্মান জানিয়ে নিরাপত্তার এই ছক সাজানো হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো ক্ষতি না হয়।

ডিএমপি সূত্র আরও জানায়, গোয়েন্দা নজরদারিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিবি পুলিশের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য বা উত্তেজনা ছড়ানোর প্রচেষ্টা শনাক্তে বিশেষ টিম কাজ করছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর চলমান পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এই সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো—শোকাবহ পরিবেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিশ্চিত করা এবং কোনো অপশক্তি যেন এই সংবেদনশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে না পারে, তা প্রতিহত করা। নগরবাসীকে অপ্রয়োজনে সংবেদনশীল এলাকায় ভিড় এড়িয়ে চলা এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য শেয়ার না করার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদগাঁওয়ে ৪৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম শুরু

হাদির লাশ দেশে ফেরায় ঢাকাজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা

আপডেট সময় : ১১:২৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

সিঙ্গাপুর থেকে শহীদ বিপ্লবী শরীফ ওসমান হাদির লাশ দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ, র‍্যাব, আনসার, বিজিবি, এপিবিএন ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ঢাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয় কঠোর নিরাপত্তাবলয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে হাদি’র লাশ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাউছার মাহমুদ জানান, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে হাদির লাশ বের করা হয়।

লাশ পৌঁছানোর আগেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয় টার্মিনাল, প্রবেশপথ ও আশপাশের সড়কজুড়ে। রানওয়ে থেকে শুরু করে প্রধান ফটক পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টে সশস্ত্র পাহারা জোরদার করা হয়। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক সড়কগুলোয় বসানো হয় অস্থায়ী চেকপোস্ট।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে সাঁজোয়া যান ও এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) মোতায়েন করে শক্তিশালী নিরাপত্তা জাল তৈরি করা হয়। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন। যাত্রী ও সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা থাকলেও সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের ওপর ছিল কড়া নজরদারি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ড্রোন ব্যবহার করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ ও শোকাহত জনতাকে শান্ত থাকার এবং বাহিনীকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় বিশেষায়িত ইউনিটগুলো স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে শহীদ হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে শোকের আবহ তৈরি হয়। শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে হাজার হাজার শোকাহত ছাত্র-জনতা। হাদির লাশ দেশে ফেরার খবরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে শোক প্রকাশ ও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব কর্মসূচিকে ঘিরে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগাম সতর্ক অবস্থান নেয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা জানায়, নগরের প্রবেশপথসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক বিশেষ টিম মাঠে সক্রিয় রয়েছে। জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।

র‍্যাব রাজধানীর কৌশলগত পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে মোবাইল টহল জোরদার করে। বিমানবন্দর থেকে লাশ বহনের সম্ভাব্য রুটগুলোতে র‍্যাবের বিশেষ নজরদারি ছিল। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সহায়ক শক্তি হিসেবে মাঠে অবস্থান করেন।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, শাহজালাল বিমানবন্দর, কারওয়ান বাজার ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিপুলসংখ্যক বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির বিশেষ স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়।

দেশে আনার পর শহীদ ওসমান হাদির লাশ শেরেবাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত করা হয়।

ডিএমপির মুখপাত্র ও উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, নাশকতার কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকির তথ্য নেই, তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। শোকাহত মানুষের আবেগকে সম্মান জানিয়ে নিরাপত্তার এই ছক সাজানো হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো ক্ষতি না হয়।

ডিএমপি সূত্র আরও জানায়, গোয়েন্দা নজরদারিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিবি পুলিশের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য বা উত্তেজনা ছড়ানোর প্রচেষ্টা শনাক্তে বিশেষ টিম কাজ করছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর চলমান পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এই সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো—শোকাবহ পরিবেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিশ্চিত করা এবং কোনো অপশক্তি যেন এই সংবেদনশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে না পারে, তা প্রতিহত করা। নগরবাসীকে অপ্রয়োজনে সংবেদনশীল এলাকায় ভিড় এড়িয়ে চলা এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য শেয়ার না করার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এমআর/সবা