০২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তা নদী নাব্য সংকটে ৩৫ রুটে নৌ-চলাচল বন্ধ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার তিস্তা নদী নাব্য সংকটে ভরাট হয়ে পড়ায় ৩৫টি নৌরুটে নৌ-চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও কার্যকর খনন বা ড্রেজিং না হওয়ায় উজান থেকে আসা পলি ও বালু নদীভরাট সৃষ্টি করেছে। একসময় খরস্রোতা তিস্তা এখন আবাদি জমি ও মরুময় বালুচরে পরিণত হয়েছে, ফলে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আনছার আলী বলেন, “আগে যেখানে বড় নৌকা চলত, এখন ধু-ধু বালুচর। শহর থেকে মালপত্র আনা এখন অত্যন্ত কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। চরের ভেতরে এখন শুধু হাঁটাহাঁটি বা ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া উপায় নেই।” হরিপুরের নৌ-শ্রমিক তামিম মিয়া বলেন, “১০ বছর আগে আমার পাঁচটি নৌকা ছিল, এখন মাত্র একটি। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মাঝিরা বেকার হয়ে পড়েছে।”

 

ফুলছড়ি উপজেলার অভ্যন্তরীণ নৌরুট যেমন ফুলছড়ি-বালাসী, তিস্তামুখঘাট-বাহাদুরাবাদ, গজারিয়া-গলনা, হাজিরহাট, সিংড়িয়া-ঝানঝাইর, গুনভরি-কালাসোনা, গজারিয়া-ফুলছড়ি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলও নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে সমস্যায় পড়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, “নদী খনন বা স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।” উপজেলা প্রশাসকরা সতর্ক করে বলছেন, নদী দ্রুত খনন না হলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন ও চরাঞ্চলের জীবন বিপন্ন হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তা নদী নাব্য সংকটে ৩৫ রুটে নৌ-চলাচল বন্ধ

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার তিস্তা নদী নাব্য সংকটে ভরাট হয়ে পড়ায় ৩৫টি নৌরুটে নৌ-চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও কার্যকর খনন বা ড্রেজিং না হওয়ায় উজান থেকে আসা পলি ও বালু নদীভরাট সৃষ্টি করেছে। একসময় খরস্রোতা তিস্তা এখন আবাদি জমি ও মরুময় বালুচরে পরিণত হয়েছে, ফলে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আনছার আলী বলেন, “আগে যেখানে বড় নৌকা চলত, এখন ধু-ধু বালুচর। শহর থেকে মালপত্র আনা এখন অত্যন্ত কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। চরের ভেতরে এখন শুধু হাঁটাহাঁটি বা ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া উপায় নেই।” হরিপুরের নৌ-শ্রমিক তামিম মিয়া বলেন, “১০ বছর আগে আমার পাঁচটি নৌকা ছিল, এখন মাত্র একটি। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মাঝিরা বেকার হয়ে পড়েছে।”

 

ফুলছড়ি উপজেলার অভ্যন্তরীণ নৌরুট যেমন ফুলছড়ি-বালাসী, তিস্তামুখঘাট-বাহাদুরাবাদ, গজারিয়া-গলনা, হাজিরহাট, সিংড়িয়া-ঝানঝাইর, গুনভরি-কালাসোনা, গজারিয়া-ফুলছড়ি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলও নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে সমস্যায় পড়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, “নদী খনন বা স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।” উপজেলা প্রশাসকরা সতর্ক করে বলছেন, নদী দ্রুত খনন না হলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন ও চরাঞ্চলের জীবন বিপন্ন হবে।