নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়াস্থ রামকৃষ্ণ মিশনে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমীতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিপুল উৎসাহ ও আনন্দঘন পরিবেশে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে শঙ্খ, ঘণ্টা আর উলু ধ্বনির মধ্যদিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে দুর্গা দেবীকে কুমারী রূপে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে আগতরা এতে অংশ নেয়।
শহরের মিশনপাড়া এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনে আয়োজিত কুমারী পূজায় এবার কুমারীর আসনে বসেছিল ৮ বছরের মিষ্টি চক্রবর্তী। তাকে দুর্গা প্রতিমার দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়।
মিষ্টি চক্রবর্তী নারায়ণগঞ্জের দেওভোগের বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। কাশ্যপ গোত্রের মিষ্টি চক্রবর্তীর বাবা দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও শম্পা চক্রবর্তীর মেয়ে।
সকাল সাড়ে ১১টা সোয়া ১২টা পর্যন্ত কুমারী পূজা পরিচালনা করেন মিশনের স্বামী মহারাজ একনাথনন্দ। তিনি বলেন, নারী মানে মায়ের প্রতীক। তাই কুমারী পূজা মানে স্বয়ং মাকে পূজা করা। পৃথিবীতে দেবী দুর্গাই সর্বশক্তিমান। তাকে লক্ষ্য করেই কুমারী পূজা করা হয়। একজন কুমারীকে মাতৃজ্ঞানে আমরা পূজা করি।
কুমারী পূজার সময়ে দেওভোগ নাগমহাশয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্য, মতিলাল, নিরঞ্জন সাহা, বাসুদেব চক্রবর্তীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান শেষে কুমারী হাসিমুখে তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমার অনেক অনেক ভালো লাগছে। আমাকে দেবীজ্ঞানে জাগ্রত মাতৃরূপে ভক্তরা পূজা দিয়েছেন, এটা আমার সৌভাগ্য।
হিন্দু ধর্ম মতে, কুমারী হচ্ছে শুদ্ধতার প্রতীক। দেবী দুর্গার আরেক নাম কুমারী। এ পূজার মাধ্যমে স্বয়ং মা দুর্গা মানুষের ভেতরে বিকশিত হন। এ কুমারী পূজার জন্য সৎ বংশজাত গোলককন্যা একজন বালিকাকে নির্বাচিত করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, আমরা কুমারী পূজাকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
























