সিঙ্গেল সীটের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের অফিস কক্ষে তালা দিয়েছে হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে হলের কার্যালয় কক্ষে তালা দিয়ে গেটের সামনেই অবস্থান নেন তিনি।
ওই শিক্ষার্থীর নাম শাকিল আহমেদ। তিনি রসায়ন বিভাগের ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কক্ষের গেইটে তালা ঝুলিয়ে সেখানেই অবস্থান নেন তিনি। হল অফিসের গেইটে তালা দেওয়ার বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী বলেন, গত বছর নভেম্বরে আবাসিকতার নোটিশ দিলেও এখনো পর্যন্ত হল প্রশাসন জানায় নি কে আবাসিকতা পেয়েছে আর কে পায় নি। আমি একটা ছাত্র সংগঠনের দায়িত্বে থেকেও এমন হেনস্তার শিকার স্বীকার হচ্ছি। তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হয়! হলের ফি না দিলে ফরম পূরণ আটকে দেওয়া হয় অথচ এক বছর ধরে হলের আবাসিকতা পাচ্ছি না। একটা হলে এক বছর ধরে যদি আবাসিকতা না দেওয়া হয় তাহলে যে শিক্ষার্থী আগেই আবেদনের জন্য টাকা দেওয়া হলো সেটা কি কাজে ব্যয় হয় সেটা জানানো হয় না। শিক্ষার্থীরা এরকম হয়রানি হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত তারা টাকার বিনিময়ে হলে ওঠে। এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও নিতে হবে। তারা দায়িত্ব নিতে পারলে পদত্যাগ করুক।’
তিনি আরও বলেন, আমি এর আগেও অবস্থান কর্মসূচি করেছি, তখন আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর কিছু জানানো হয় নি। আবাসিকতা না পাওয়া পর্যন্ত রুমের তালা খুলবে না।
এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই শিক্ষার্থী সিঙ্গেল সীট চায়, কিন্তু এই মুহুর্তে সীঙ্গেল সীট ফাঁকা নেই। প্রায় ১২০ টা সীট ফাঁকা হওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা অফিসিয়ালী আবাসিকতার নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু একটা ছাত্র সংগঠন প্রায় ৮০ সীটের চাহিদা দিয়েছে এবং তারা সবাই উঠে গেছে।
তারা অফিসিয়ালী উঠেছে কি না এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, তারা না জানিয়েই উঠেছে এবং আমরা তালিকা করেছি। প্রশাসনের সাথে আলাপ করে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নিব।























