০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোর গ্যাং এর আধিপত্যে উৎকন্ঠা নেত্রকোনা বাসি, বাড়ছে কিশোর অপরাধ

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • 237

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নিয়ন্ত্রণহীন পরিবারের বখাটে সন্তান সমাজে বা মহল্লায় বড় ভাই দাবির মাধ্যমে গ্রোপিং করে কিশোর গ্যাং সৃষ্টির করে চাঁদাবাজি, জুয়া, ইভটিজিং আরও অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমাজ কে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। বিশেষ করে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্ররা এমন ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ত জানা যায়। ‘একতাই শক্তি,একতাই বল’ হল কিশোর গ্যাং এর শক্তির উৎস। গ্যাং লিডারের নেতৃত্বে চলে ছিনতাই কিংবা চাঁদাবাজি। এমনকি চুরির মত ঘটনা অহরহ ঘটছে এ পৌর শহরে। দিনেও তালা ভেঙে চুরি হচ্ছে। বৈদ্যুতিক সার্ভিস লাইন কেটেও নিয়ে যাচ্ছে কোন কোন স্থান থেকে। মানুষ এখন আতংকে আছে। এই গ্যাং স্টাররা অনৈতিক পথে উপার্জিত টাকা জুয়া বা ক্যাসিনোর  আড্ডায় কিংবা নেশার আড্ডায় শেষ করে। আবার নতুন করে আরেক অপরাধ। বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষেও বড় ভাই দাবি করে সহপাঠীদের কাছে, আর বড় ভাই না মানলে শুরু হয় রেগিং। বড় ভাইয়ে বড় ভাইয়ে শুরু হয় ক্ষমতার লড়াই। এটা শুধু বিদ্যালয়ের ক্যাপ্টেনগিরির মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়,সামাজিক ভাবে মহল্লায় মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ছে। আর একটি বিষয় বিশেষ ভাবে লক্ষনীয় যে বিদ্যালয় শুরু ও শেষে যুবকের ইভটিজিং একটি অমানবিক পর্যায়ে চলে গিয়েছে। হিজাব কিংবা বোরকা পড়েও মেয়েরা ইভটিজারদের থেকে রেহাই পাচ্ছে না। অজানা অচেনা মানুষের কাছে ঠেক দিয়ে চাঁদাবাজি শহরের আইন শৃঙ্খলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের নজরদারী অত্যাবশ্যক বলে ভূক্তভোগীরা ভাবেন। যুব সমাজের এমন অধোগতির চরম পরিণতিতে প্রশাসন, অভিভাবক ও সর্ব শ্রেণির মানুষের  সোচ্চার সচেতনতা প্রয়োজন ও তাদেরকে সংশোধনের মাধ্যমে ভালোর পথে ফিরিয়ে আনা সময়ের দাবি ।

জনপ্রিয় সংবাদ

বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী

কিশোর গ্যাং এর আধিপত্যে উৎকন্ঠা নেত্রকোনা বাসি, বাড়ছে কিশোর অপরাধ

আপডেট সময় : ০৮:০১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নিয়ন্ত্রণহীন পরিবারের বখাটে সন্তান সমাজে বা মহল্লায় বড় ভাই দাবির মাধ্যমে গ্রোপিং করে কিশোর গ্যাং সৃষ্টির করে চাঁদাবাজি, জুয়া, ইভটিজিং আরও অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমাজ কে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। বিশেষ করে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্ররা এমন ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ত জানা যায়। ‘একতাই শক্তি,একতাই বল’ হল কিশোর গ্যাং এর শক্তির উৎস। গ্যাং লিডারের নেতৃত্বে চলে ছিনতাই কিংবা চাঁদাবাজি। এমনকি চুরির মত ঘটনা অহরহ ঘটছে এ পৌর শহরে। দিনেও তালা ভেঙে চুরি হচ্ছে। বৈদ্যুতিক সার্ভিস লাইন কেটেও নিয়ে যাচ্ছে কোন কোন স্থান থেকে। মানুষ এখন আতংকে আছে। এই গ্যাং স্টাররা অনৈতিক পথে উপার্জিত টাকা জুয়া বা ক্যাসিনোর  আড্ডায় কিংবা নেশার আড্ডায় শেষ করে। আবার নতুন করে আরেক অপরাধ। বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষেও বড় ভাই দাবি করে সহপাঠীদের কাছে, আর বড় ভাই না মানলে শুরু হয় রেগিং। বড় ভাইয়ে বড় ভাইয়ে শুরু হয় ক্ষমতার লড়াই। এটা শুধু বিদ্যালয়ের ক্যাপ্টেনগিরির মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়,সামাজিক ভাবে মহল্লায় মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ছে। আর একটি বিষয় বিশেষ ভাবে লক্ষনীয় যে বিদ্যালয় শুরু ও শেষে যুবকের ইভটিজিং একটি অমানবিক পর্যায়ে চলে গিয়েছে। হিজাব কিংবা বোরকা পড়েও মেয়েরা ইভটিজারদের থেকে রেহাই পাচ্ছে না। অজানা অচেনা মানুষের কাছে ঠেক দিয়ে চাঁদাবাজি শহরের আইন শৃঙ্খলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের নজরদারী অত্যাবশ্যক বলে ভূক্তভোগীরা ভাবেন। যুব সমাজের এমন অধোগতির চরম পরিণতিতে প্রশাসন, অভিভাবক ও সর্ব শ্রেণির মানুষের  সোচ্চার সচেতনতা প্রয়োজন ও তাদেরকে সংশোধনের মাধ্যমে ভালোর পথে ফিরিয়ে আনা সময়ের দাবি ।