০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিপরিতে ইছামতির তীরে ম্যানগ্রোভ মিনি সুন্দরবন

মীর খায়রুল আলম
ভারত-বাংলাদেশের বুক চিরে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। কোমরপুর হতে নওয়াপাড়া বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে দেবহাটা উপজেলা। এই উপজেলা রয়েছে অতীত আর ঐতিহ্যতে ভরা। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু বিলুপ্ত হতে চলেছে। ঠিক সে সময়ে উপজেলার শীবনগর এলাকার ভাঙ্গন ঠেকাতে একটি বন গড়ে তোলেন উপজেলা প্রশাসন। ধীরে ধীরে এই বনের আকার ও পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে এটি বৃহৎ বনে রূপ নিয়েছে।
সে কারনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দর্শন নন্দিত আকর্ষণীয় করে তুলতে দেবহাটার ইছামতির তীরে অবস্থিত ম্যানগ্রোভ মিনি সুন্দরবনকে পর্যটনমূখি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। জেলার সদর হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে ইছামতি নদীর তীরে শিবনগর মৌজায় প্রায় ৫০ একর জমি জুড়ে রয়েছে এ বনটি। এটি উপজেলার “রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র” পর্যটন কেন্দ্র নামে পরিচিত। ইছামতি নদীর তীরে কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি এ ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি এ উপজেলায় মানুষকে গর্বিত করে। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় টাউনশ্রীপুর এলাকায় ভারতের টাকি পৌরসভার বিপরীতে ইছামতি নদীর তীরে শীবনগর মৌজায় প্রায় ১৫০ একর জমিতে এ বনটি  তৈরি করা হয়েছে। এই পর্যটন কেন্দ্রর সার্বিক উন্নয়নের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রটিতে অধিকাংশ সময়ে জেলা, উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পারিবারিক ভাবে বনভোজনের আয়োজন করা করা হয়। এই বনটিতে বহু প্রজাতির ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রয়েছে। সুন্দরবনের আদলে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ বৃক্ষের চারা এনে রোপন করে ব্যাপক বনের সৃষ্টি করা হয়েছে। যার মধ্যে কেওড়া, বাইন, গোলপাতা, কাঁকড়া, নিম, সুন্দরী, হরকচাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ উদ্ভিদ। এখানে ১০একর জমির বুকে রয়েছে “অনামিকা লেক”। এই লেকে রয়েছে শান বাধানো পাকা ঘাট। বিনোদন প্রিয়াসীদের জন্য রয়েছে বসারস্থান। শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য কৃত্রিম বিভিন্ন প্রজাতীর পশুপাখি। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে এটি পরিপূর্ণ বনে পরিনত করতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং একটি আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে নেওয়া হয়েছে নান উদ্যোগ। ম্যানগ্রোভ বনে যাওয়ার ২টি রাস্তার মধ্যে একটি পিচ ঢালা রাস্তা। অপরটি ডাবল হেয়ারিং বন রাস্তা রয়েছে। এছাড়া সমগ্র বনটির উপভোগের জন্য বনের ভিতর দিয়ে ট্রেইল ব্যবস্থা, কৃত্রিম জীবজন্তুর ব্যবস্থা, বনের লেকে বোটের ব্যবস্থাসহ নানামূখি প্রস্তাবনা ও বাস্তাবায়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বনটির সৈন্দর্য বৃদ্ধি করতে ২রুম বিশিষ্ট ভবন, একটি টিকিট কাউন্টার, প্রবেশদার গেটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলার ইছামতি সীমান্তের ইছামতির তীরে গড়ে ওঠা দৃষ্টিনন্দিত মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য ম্যানগ্রোভ মিনি সুন্দরবনটির পরপর পরিধি বাড়ছে। ২০০৯ সালে দেবহাটার সুঁশিলগাতী এলাকার নদীর বেড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হলে বাধ রক্ষায় ২০১০ সালে উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে বাধ রক্ষায় ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ১০একরের মত জায়গা জুড়ে তৈরি এই ম্যানগ্রোভ বন। বেশ কয়েক বছর যেতে যেতে বনের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর রক্ষা পায় আশে পাশের এলাকাবাসীরা। প্রতিবছরে উপজেলার ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ উপভোগ করতে আসে প্রকৃতির এই দৃর্শ্য। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বনটিতে কানায় কানায় দর্শণার্থী পরিপূর্ণ হয়।
শীতের প্রথম থেকে শুরু হয় পিকনিক উৎসব। অনেকে এসে রান্নাবান্না করে ধুমধাম চড়–ই ভাতিও করে। কয়েক মাস ধরে চলতে থাকে উৎসবের আমেজ। সেই আমেজ ছড়িয়ে পড়ে সকলের মাঝে। বর্তমান স্থানটিতে প্রবেশ করতে হলে উপজেলা প্রশাসনেকে টিকিটের মাধ্যমে ২০টাকা ফি দিতে হয়। যার পুরো টাকা সরকারি রাজস্ব তহবিলে জমা হয়। স্থানটি ইছামতির তীরে নিরিবিলি হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসেন।
বিনোদন কেন্দ্রটির ম্যানেজার সোহেল রানা জানান, সার্বিক নিরাপত্তা ও সুন্দর পরিবেশ যাতে বজায় থাকে সে জন্য সর্বদা তৎপর আছি। এখানে ছুটির দিনে অসংখ্য মানুষ বেড়াতে আসেন। জায়গাটি নদীর তীরে হওয়ায় এখান থেকে টাকি পৌরসভা ও ভারতের দেখা যায়। পর্যটকদের সুবিধায় পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, নামাজের ঘর, বাথরুম, পানির লাইন সব কিছু ব্যবস্থা কার হয়েছে। পিকনিকের জন্য স্পট আছে। দুরদুরন্ত থেকে মানুষ পিকনিক করতে আসে এখানে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্তমান উপ-সচিব আ.ন.ম তরিকুল ইসলামের উদ্যোগে বনটি গড়ে তোলা হয়। এরপর পর্যয়ক্রমে বিভিন্ন নির্বাহী অফিসারগন এটির উন্নয়ন করে। কিন্তু সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্তমান উপ-সচিব হাফিজ আল-আসাদ বনটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ব্যাপক উন্নয়ন করেন।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, সুন্দরবনের আদলে গড়া রুপসী ম্যানগ্রোভ বনটি মানুষের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে আসলে সুন্দরবনে যাওয়ার অনেকটাই স্বাদ মেটানো যাবে। পরিবার পরিজন নিয়ে মুক্ত বাতাসে সময় কাটানোর মনোরম পরিবেশ রয়েছে রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রে।
উল্লেখ্য যে, বনটি নান্দনিক ভাবে তৈরি করায় সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল-আসাদ পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। তাই  রূপসী ম্যানগ্রোভ বনকে আকর্ষণীয় করলে দক্ষিণঞ্চলের মানুষের বিনোদনের চাহিদা মিটিয়ে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলে মনে করেন উপজেলাবাসী।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ভারতের বিপরিতে ইছামতির তীরে ম্যানগ্রোভ মিনি সুন্দরবন

আপডেট সময় : ০৩:১৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
মীর খায়রুল আলম
ভারত-বাংলাদেশের বুক চিরে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। কোমরপুর হতে নওয়াপাড়া বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে দেবহাটা উপজেলা। এই উপজেলা রয়েছে অতীত আর ঐতিহ্যতে ভরা। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু বিলুপ্ত হতে চলেছে। ঠিক সে সময়ে উপজেলার শীবনগর এলাকার ভাঙ্গন ঠেকাতে একটি বন গড়ে তোলেন উপজেলা প্রশাসন। ধীরে ধীরে এই বনের আকার ও পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে এটি বৃহৎ বনে রূপ নিয়েছে।
সে কারনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দর্শন নন্দিত আকর্ষণীয় করে তুলতে দেবহাটার ইছামতির তীরে অবস্থিত ম্যানগ্রোভ মিনি সুন্দরবনকে পর্যটনমূখি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। জেলার সদর হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে ইছামতি নদীর তীরে শিবনগর মৌজায় প্রায় ৫০ একর জমি জুড়ে রয়েছে এ বনটি। এটি উপজেলার “রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র” পর্যটন কেন্দ্র নামে পরিচিত। ইছামতি নদীর তীরে কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি এ ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি এ উপজেলায় মানুষকে গর্বিত করে। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় টাউনশ্রীপুর এলাকায় ভারতের টাকি পৌরসভার বিপরীতে ইছামতি নদীর তীরে শীবনগর মৌজায় প্রায় ১৫০ একর জমিতে এ বনটি  তৈরি করা হয়েছে। এই পর্যটন কেন্দ্রর সার্বিক উন্নয়নের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রটিতে অধিকাংশ সময়ে জেলা, উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পারিবারিক ভাবে বনভোজনের আয়োজন করা করা হয়। এই বনটিতে বহু প্রজাতির ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রয়েছে। সুন্দরবনের আদলে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ বৃক্ষের চারা এনে রোপন করে ব্যাপক বনের সৃষ্টি করা হয়েছে। যার মধ্যে কেওড়া, বাইন, গোলপাতা, কাঁকড়া, নিম, সুন্দরী, হরকচাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ উদ্ভিদ। এখানে ১০একর জমির বুকে রয়েছে “অনামিকা লেক”। এই লেকে রয়েছে শান বাধানো পাকা ঘাট। বিনোদন প্রিয়াসীদের জন্য রয়েছে বসারস্থান। শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য কৃত্রিম বিভিন্ন প্রজাতীর পশুপাখি। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে এটি পরিপূর্ণ বনে পরিনত করতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং একটি আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে নেওয়া হয়েছে নান উদ্যোগ। ম্যানগ্রোভ বনে যাওয়ার ২টি রাস্তার মধ্যে একটি পিচ ঢালা রাস্তা। অপরটি ডাবল হেয়ারিং বন রাস্তা রয়েছে। এছাড়া সমগ্র বনটির উপভোগের জন্য বনের ভিতর দিয়ে ট্রেইল ব্যবস্থা, কৃত্রিম জীবজন্তুর ব্যবস্থা, বনের লেকে বোটের ব্যবস্থাসহ নানামূখি প্রস্তাবনা ও বাস্তাবায়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বনটির সৈন্দর্য বৃদ্ধি করতে ২রুম বিশিষ্ট ভবন, একটি টিকিট কাউন্টার, প্রবেশদার গেটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলার ইছামতি সীমান্তের ইছামতির তীরে গড়ে ওঠা দৃষ্টিনন্দিত মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য ম্যানগ্রোভ মিনি সুন্দরবনটির পরপর পরিধি বাড়ছে। ২০০৯ সালে দেবহাটার সুঁশিলগাতী এলাকার নদীর বেড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হলে বাধ রক্ষায় ২০১০ সালে উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে বাধ রক্ষায় ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ১০একরের মত জায়গা জুড়ে তৈরি এই ম্যানগ্রোভ বন। বেশ কয়েক বছর যেতে যেতে বনের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর রক্ষা পায় আশে পাশের এলাকাবাসীরা। প্রতিবছরে উপজেলার ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ উপভোগ করতে আসে প্রকৃতির এই দৃর্শ্য। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বনটিতে কানায় কানায় দর্শণার্থী পরিপূর্ণ হয়।
শীতের প্রথম থেকে শুরু হয় পিকনিক উৎসব। অনেকে এসে রান্নাবান্না করে ধুমধাম চড়–ই ভাতিও করে। কয়েক মাস ধরে চলতে থাকে উৎসবের আমেজ। সেই আমেজ ছড়িয়ে পড়ে সকলের মাঝে। বর্তমান স্থানটিতে প্রবেশ করতে হলে উপজেলা প্রশাসনেকে টিকিটের মাধ্যমে ২০টাকা ফি দিতে হয়। যার পুরো টাকা সরকারি রাজস্ব তহবিলে জমা হয়। স্থানটি ইছামতির তীরে নিরিবিলি হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসেন।
বিনোদন কেন্দ্রটির ম্যানেজার সোহেল রানা জানান, সার্বিক নিরাপত্তা ও সুন্দর পরিবেশ যাতে বজায় থাকে সে জন্য সর্বদা তৎপর আছি। এখানে ছুটির দিনে অসংখ্য মানুষ বেড়াতে আসেন। জায়গাটি নদীর তীরে হওয়ায় এখান থেকে টাকি পৌরসভা ও ভারতের দেখা যায়। পর্যটকদের সুবিধায় পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, নামাজের ঘর, বাথরুম, পানির লাইন সব কিছু ব্যবস্থা কার হয়েছে। পিকনিকের জন্য স্পট আছে। দুরদুরন্ত থেকে মানুষ পিকনিক করতে আসে এখানে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্তমান উপ-সচিব আ.ন.ম তরিকুল ইসলামের উদ্যোগে বনটি গড়ে তোলা হয়। এরপর পর্যয়ক্রমে বিভিন্ন নির্বাহী অফিসারগন এটির উন্নয়ন করে। কিন্তু সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্তমান উপ-সচিব হাফিজ আল-আসাদ বনটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ব্যাপক উন্নয়ন করেন।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, সুন্দরবনের আদলে গড়া রুপসী ম্যানগ্রোভ বনটি মানুষের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে আসলে সুন্দরবনে যাওয়ার অনেকটাই স্বাদ মেটানো যাবে। পরিবার পরিজন নিয়ে মুক্ত বাতাসে সময় কাটানোর মনোরম পরিবেশ রয়েছে রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রে।
উল্লেখ্য যে, বনটি নান্দনিক ভাবে তৈরি করায় সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল-আসাদ পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। তাই  রূপসী ম্যানগ্রোভ বনকে আকর্ষণীয় করলে দক্ষিণঞ্চলের মানুষের বিনোদনের চাহিদা মিটিয়ে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলে মনে করেন উপজেলাবাসী।