০১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে  শাক সবজি চাষ করে  লাভবান হচ্ছে কৃষকরা

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • 243

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলে সমন্বিতভাবে শাক সবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের মানুষের জীবন-জীবিকা। বন্যাকালীন সময়েও যাতে সবজি উৎপাদন অব্যাহত থাকে এজন্য কমিউনিটি ভিত্তিক সবজি ও বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।

প্রতিবছরেই  বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয় কুড়িগ্রামে।  বিনষ্ট হয় চরের মানুষের কৃষি ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো। যার কারণে তারা এখন উন্নত পদ্ধতিতে করছেন চাষাবাদ।

এমনি  একজন   চাষী কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তেথরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার কুমার পাড়া এলাকার সাফিউল ইসলাম (২২)।

তিনি মাত্র চার শতক জমিতে  শাক চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন।

সামিউল ইসলাম বলেন, আমার ৪ শতক জমিতে গাছ লাগিয়েছি। এইটুকু জমিতে আবার পাশাপাশি লালশাক, কলমি শাক, মিষ্টি কুমড়া ও রসুন রোপন করেছি। এখানে লাল শাক রোপনে আমার মাত্র ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। এখন পযন্ত ১ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছি। আরও দেড় হাজার টাকার শাক বিক্রি করবো বলে আশা করছি। এছাড়াও তো অন্যন্য শাক আছে। ঠিকমতো যদি শাক সবজি চাষ করা যায়, তাহলে অনেক লাভ।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জেলায় শাক সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে। এখনো শাক সবজি চাষ চলমান রয়েছে।

উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কদমেরতল এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি আমার ৮ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক আবাদ করেছি।

ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালোই লাভবান হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলের মানুষের সমন্বিত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণসহ সবধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে  শাক সবজি চাষ করে  লাভবান হচ্ছে কৃষকরা

আপডেট সময় : ০১:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলে সমন্বিতভাবে শাক সবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের মানুষের জীবন-জীবিকা। বন্যাকালীন সময়েও যাতে সবজি উৎপাদন অব্যাহত থাকে এজন্য কমিউনিটি ভিত্তিক সবজি ও বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।

প্রতিবছরেই  বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয় কুড়িগ্রামে।  বিনষ্ট হয় চরের মানুষের কৃষি ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো। যার কারণে তারা এখন উন্নত পদ্ধতিতে করছেন চাষাবাদ।

এমনি  একজন   চাষী কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তেথরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার কুমার পাড়া এলাকার সাফিউল ইসলাম (২২)।

তিনি মাত্র চার শতক জমিতে  শাক চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন।

সামিউল ইসলাম বলেন, আমার ৪ শতক জমিতে গাছ লাগিয়েছি। এইটুকু জমিতে আবার পাশাপাশি লালশাক, কলমি শাক, মিষ্টি কুমড়া ও রসুন রোপন করেছি। এখানে লাল শাক রোপনে আমার মাত্র ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। এখন পযন্ত ১ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছি। আরও দেড় হাজার টাকার শাক বিক্রি করবো বলে আশা করছি। এছাড়াও তো অন্যন্য শাক আছে। ঠিকমতো যদি শাক সবজি চাষ করা যায়, তাহলে অনেক লাভ।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জেলায় শাক সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে। এখনো শাক সবজি চাষ চলমান রয়েছে।

উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কদমেরতল এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি আমার ৮ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক আবাদ করেছি।

ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালোই লাভবান হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলের মানুষের সমন্বিত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণসহ সবধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।