০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরতাল-অবরোধ মানবাধিকার বিরোধী : রাবি উপাচার্য

জ্বালাও-পোড়াও এবং হরতাল-অবরোধ কখনো মানবাধিকার হতে পারে না। মানবাধিকার মনের বিষয়, হৃদয়ের বিষয়। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যার জন্মের সময় তার বিরোধীরা সক্রিয় ছিল। তারা এখনো সক্রিয়। তাদের দ্বারাই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘মানবাধিকার: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে’র সঞ্চালনায় উপাচার্য আরও বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। গণতন্ত্রের প্রধান লক্ষণ হল মানবাধিকার। মানবাধিকার ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়। এর মাধ্যমে মানুষ নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা আমাদের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমরা গণতন্ত্র অর্জন করতে পারছি না। বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে নিয়ে ঘুরে দাড়াচ্ছিলেন৷ তখন তাকে হত্যা করা হয়। মানবতা তখন কেথায় ছিল? আজ এদেশের জনগণ জানে তারাই ক্ষমতার উৎস।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে মানবাধিকারের কথা বলে দেওয়া হয়েছে৷ মানবাধিকার রক্ষার জন্য গণতন্ত্র অপরিহার্য। নির্বাচন অপরিহার্য। সংবিধানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। যারা সংবিধান বহির্ভূত কথা বলে তাদের ইশতেহারে মানবাধিকার কতটুকু আছে?

আলোচনা সভার সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর (শিক্ষা) বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান বিশ্বের অনেক তুলনায় উন্নত মানের। সেখানে মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার হলো স্বাধীনভাবে আমি আমার মত প্রকাশ করব। তেমনি প্রতিটি শিক্ষকের তার শিক্ষার্থীদের প্রতি সচেতন হওয়া উচিত। প্রাপ্ত সুশিক্ষা পাওয়াও প্রতিটি শিক্ষার্থীর মানবাধিকার।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম, ছাত্র উপদেষ্টা ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর ড. মো. আসাবুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

জনপ্রিয় সংবাদ

হরতাল-অবরোধ মানবাধিকার বিরোধী : রাবি উপাচার্য

আপডেট সময় : ০৫:১৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

জ্বালাও-পোড়াও এবং হরতাল-অবরোধ কখনো মানবাধিকার হতে পারে না। মানবাধিকার মনের বিষয়, হৃদয়ের বিষয়। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যার জন্মের সময় তার বিরোধীরা সক্রিয় ছিল। তারা এখনো সক্রিয়। তাদের দ্বারাই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘মানবাধিকার: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে’র সঞ্চালনায় উপাচার্য আরও বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। গণতন্ত্রের প্রধান লক্ষণ হল মানবাধিকার। মানবাধিকার ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়। এর মাধ্যমে মানুষ নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা আমাদের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমরা গণতন্ত্র অর্জন করতে পারছি না। বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে নিয়ে ঘুরে দাড়াচ্ছিলেন৷ তখন তাকে হত্যা করা হয়। মানবতা তখন কেথায় ছিল? আজ এদেশের জনগণ জানে তারাই ক্ষমতার উৎস।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে মানবাধিকারের কথা বলে দেওয়া হয়েছে৷ মানবাধিকার রক্ষার জন্য গণতন্ত্র অপরিহার্য। নির্বাচন অপরিহার্য। সংবিধানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। যারা সংবিধান বহির্ভূত কথা বলে তাদের ইশতেহারে মানবাধিকার কতটুকু আছে?

আলোচনা সভার সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর (শিক্ষা) বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান বিশ্বের অনেক তুলনায় উন্নত মানের। সেখানে মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার হলো স্বাধীনভাবে আমি আমার মত প্রকাশ করব। তেমনি প্রতিটি শিক্ষকের তার শিক্ষার্থীদের প্রতি সচেতন হওয়া উচিত। প্রাপ্ত সুশিক্ষা পাওয়াও প্রতিটি শিক্ষার্থীর মানবাধিকার।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম, ছাত্র উপদেষ্টা ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর ড. মো. আসাবুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।