পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্যারিস চুক্তির ১.৫ ডিগ্রি লক্ষ্য রাখতে ২০৩০ সালের জন্য নির্গমন হ্রাসের প্রতিশ্রুতির উচ্চাকাক্সক্ষা সাত গুণ বেশি হওয়া দরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোকে তাদের ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। তিনি বলেন, সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ), স্বল্পোন্নত দেশের তহবিল (এলডিসিএফ), অভিযোজন তহবিল (এএফ) এবং জিইএফ ট্রাস্ট তহবিলকে পর্যাপ্ত সংস্থান দিয়ে শক্তিশালী করতে হবে এবং সেই তহবিলের প্রবেশাধিকার দ্রুত এবং সহজ হওয়া উচিত।
পরিবেশমন্ত্রী রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে কপ-২৮-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্যারিস চুক্তির সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অভিযোজন ও প্রশমন এবং অনুদানভিত্তিক অর্থায়নের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ ৫০:৫০ বরাদ্দের পক্ষে দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের অবস্থান। আমরা নতুন এবং অতিরিক্ত সরকারি অর্থায়নে গুরুত্ব দেব। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে ন্যাপ বাস্তবায়নের জন্য দ্বিগুণ অভিযোজন তহবিল এবং সমর্থনের ওপর জোর দেয়, যা ৪৯টি দেশের অগ্রাধিকার, যারা এরই মধ্যে তাদের এনএপি প্রস্তুত করেছে এবং জমা দিয়েছে। আমরা জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা অর্জনের জন্য সময়সীমাবদ্ধ বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্যগুলোর ওপর জোর দিয়ে অভিযোজন সংক্রান্ত গ্লোবাল গোলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উন্মুখ।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে জলবায়ুসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে অটল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন, যার উদাহরণ ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘জিসিএ লোকাল অ্যাডাপ্টেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্তি।
শাহাব উদ্দিন সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে গৃহীত টঝউ ৭০০ মিলিয়নেরও বেশি ক্ষয়ক্ষতির তহবিলের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য ঈঙচ ২৮ প্রেসিডেন্সি এবং কিছু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন যে উভয় প্রশমন কর্মকর্মসূচির অগ্রগতি, গ্লোবাল স্টক টেক (জিএসটি)-এর অধীনে প্রশমন এবং ন্যায্য রূপান্তর কাজের প্রোগ্রাম উল্লেখযোগ্যভাবে অপর্যাপ্ত। তিনি জরুরিভিত্তিতে জলবায়ু অর্থের একটি সাধারণ সংজ্ঞা ঠিক করতে অর্থসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির (এসসিএফ) প্রতি আহ্বান জানান। জলবায়ু অর্থায়নের নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফাইড গোল (ঘঈছএ) আলোচনার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং আবুধাবিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।






















