০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে হতাশ আফ্রিকার দেশগুলো

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার মহাদেশ আফ্রিকা। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্যাস উৎপাদনে এই মহাদেশের অবদান সবচেয়ে কম হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের করাল গ্রাস ঘিরে ধরছে মহাদেশটিকে।
এ বছর গত ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইতে হয়ে গেল কপ-২৮ নামে জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন। আফ্রিকার দেশগুলো অনেক আশা নিয়ে চেয়েছিল সম্মেলনের দিকে হয়তো গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদনকারী উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসারণ কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। কিন্তু বাস্তবে তাদের সে আশা পূরণ হয়নি।
সম্মেলনের প্রথম এক সপ্তাহ উন্নত দেশগুলোর তরফে অনেক আশার বাণী শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে তারা রাজি হয়নি। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উত্তরণের বিষয়ে দেশগুলো একমত হয়েছে। জলবায়ু আলোচনার ২৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ১৯৮টি দেশ এ ব্যাপারে একমত হলো। সবচেয়ে বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতিটি এসেছে স্বাগতিক দেশ বিশ্বের সপ্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইউএইর কাছ থেকে। দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যতে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে সৌদি আরব, চীন ও ভারতের মতো কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলো আনুষ্ঠানিক আলোচনা করলেও কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে হঠাৎ চলে গেলে সেটা অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে বলে দেশগুলো আশঙ্কা করে। একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর বেলাতেও। কেউই কার্বন নির্গমন কমাতে কোনো পাকা কথা দিতে রাজি নয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন কর্মসূচিতে অবদান রাখতে সম্মত হয়েছে দেশগুলো। তবে আফ্রিকার দেশগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক যে, ব্যাপক হারে কার্বন নির্গমন কমাতে পদক্ষেপ না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে মহাদেশটির অন্তত ২৫ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের প্রত্যক্ষ শিকার হবে। ইউএই অবশ্য আফ্রিকায় জীবাশ্ম থেকে নবায়নযোগ্যতা উত্তরণের জন্য ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার কথা জানিয়েছে। সব মিলিয়ে আফ্রিকার দেশগুলো যে আশা নিয়ে এবারের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল সেটা এবার পূরণ হয়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে হতাশ আফ্রিকার দেশগুলো

আপডেট সময় : ০৭:২২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার মহাদেশ আফ্রিকা। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্যাস উৎপাদনে এই মহাদেশের অবদান সবচেয়ে কম হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের করাল গ্রাস ঘিরে ধরছে মহাদেশটিকে।
এ বছর গত ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইতে হয়ে গেল কপ-২৮ নামে জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন। আফ্রিকার দেশগুলো অনেক আশা নিয়ে চেয়েছিল সম্মেলনের দিকে হয়তো গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদনকারী উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসারণ কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। কিন্তু বাস্তবে তাদের সে আশা পূরণ হয়নি।
সম্মেলনের প্রথম এক সপ্তাহ উন্নত দেশগুলোর তরফে অনেক আশার বাণী শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে তারা রাজি হয়নি। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উত্তরণের বিষয়ে দেশগুলো একমত হয়েছে। জলবায়ু আলোচনার ২৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ১৯৮টি দেশ এ ব্যাপারে একমত হলো। সবচেয়ে বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতিটি এসেছে স্বাগতিক দেশ বিশ্বের সপ্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইউএইর কাছ থেকে। দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যতে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে সৌদি আরব, চীন ও ভারতের মতো কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলো আনুষ্ঠানিক আলোচনা করলেও কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে হঠাৎ চলে গেলে সেটা অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে বলে দেশগুলো আশঙ্কা করে। একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর বেলাতেও। কেউই কার্বন নির্গমন কমাতে কোনো পাকা কথা দিতে রাজি নয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন কর্মসূচিতে অবদান রাখতে সম্মত হয়েছে দেশগুলো। তবে আফ্রিকার দেশগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক যে, ব্যাপক হারে কার্বন নির্গমন কমাতে পদক্ষেপ না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে মহাদেশটির অন্তত ২৫ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের প্রত্যক্ষ শিকার হবে। ইউএই অবশ্য আফ্রিকায় জীবাশ্ম থেকে নবায়নযোগ্যতা উত্তরণের জন্য ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার কথা জানিয়েছে। সব মিলিয়ে আফ্রিকার দেশগুলো যে আশা নিয়ে এবারের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল সেটা এবার পূরণ হয়নি।