১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ডেপুটি স্পিকার শামসুল টুকুকে শোকজ

পাবনা-১ আসনে নৌকা প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল টুকুকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ায় তাকে এই শোকজ করা হয়। গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) ইকরামুল কবির।
এর আগে বুধবার সকালে শামসুল হক টুকুর বরাবর ইকরামুল কবিরের স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এ উল্লেখিত নির্বাচনী
আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট নিম্ন লিখিত অভিযোগ অত্র কমিটির নিকট করা হয়েছে। আপনি আপনার বাসভবনে ১৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে বাদ মাগরিব
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নিয়ে নির্বাচনী মিটিং করেন। মিটিং-এ নৌকা মার্কায় ভোট চান এবং সকল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকগণদের নৌকায় ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করেন। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর হিসেবে আচরন
বিধিমালা, ২০০৮ এর ১২ বিধির লঙ্ঘন। উক্ত অভিযোগ বিষয়ে আপনার কোন বক্তব্য থাকলে তা নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট সরাসরি আপনার প্রতিনিধির মাধ্যমে
লিখিতভাবে আগামী ২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য বলা হল। অন্যথায় আপনার ব্যাখ্যা ছাড়াই নির্বাচন কমিশন এর নিকট তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা
হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেন পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের প্রচারণার শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাবনা-১ (সাঁথিয়া- বেড়ার একাংশ) আসনের ভোটের রাজনীতি। নানা বাধা, হুমকি, কর্মীদের মারধর,
গাড়ি ভাংচুরসহ নানা অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাঁথিয়া বাজারে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন নৌকার সমর্থকরা। পরে রাতে বাধা, হুমকি, কর্মীদের মারধর, গাড়ি ভাংচুর নিয়ে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ডেপুটি স্পিকার শামসুল টুকুকে শোকজ

আপডেট সময় : ০৫:১১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

পাবনা-১ আসনে নৌকা প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল টুকুকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ায় তাকে এই শোকজ করা হয়। গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) ইকরামুল কবির।
এর আগে বুধবার সকালে শামসুল হক টুকুর বরাবর ইকরামুল কবিরের স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এ উল্লেখিত নির্বাচনী
আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট নিম্ন লিখিত অভিযোগ অত্র কমিটির নিকট করা হয়েছে। আপনি আপনার বাসভবনে ১৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে বাদ মাগরিব
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নিয়ে নির্বাচনী মিটিং করেন। মিটিং-এ নৌকা মার্কায় ভোট চান এবং সকল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকগণদের নৌকায় ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করেন। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর হিসেবে আচরন
বিধিমালা, ২০০৮ এর ১২ বিধির লঙ্ঘন। উক্ত অভিযোগ বিষয়ে আপনার কোন বক্তব্য থাকলে তা নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট সরাসরি আপনার প্রতিনিধির মাধ্যমে
লিখিতভাবে আগামী ২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য বলা হল। অন্যথায় আপনার ব্যাখ্যা ছাড়াই নির্বাচন কমিশন এর নিকট তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা
হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেন পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের প্রচারণার শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাবনা-১ (সাঁথিয়া- বেড়ার একাংশ) আসনের ভোটের রাজনীতি। নানা বাধা, হুমকি, কর্মীদের মারধর,
গাড়ি ভাংচুরসহ নানা অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাঁথিয়া বাজারে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন নৌকার সমর্থকরা। পরে রাতে বাধা, হুমকি, কর্মীদের মারধর, গাড়ি ভাংচুর নিয়ে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।