পাবনা-১ আসনে নৌকা প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল টুকুকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ায় তাকে এই শোকজ করা হয়। গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) ইকরামুল কবির।
এর আগে বুধবার সকালে শামসুল হক টুকুর বরাবর ইকরামুল কবিরের স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এ উল্লেখিত নির্বাচনী
আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট নিম্ন লিখিত অভিযোগ অত্র কমিটির নিকট করা হয়েছে। আপনি আপনার বাসভবনে ১৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে বাদ মাগরিব
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নিয়ে নির্বাচনী মিটিং করেন। মিটিং-এ নৌকা মার্কায় ভোট চান এবং সকল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকগণদের নৌকায় ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করেন। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর হিসেবে আচরন
বিধিমালা, ২০০৮ এর ১২ বিধির লঙ্ঘন। উক্ত অভিযোগ বিষয়ে আপনার কোন বক্তব্য থাকলে তা নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট সরাসরি আপনার প্রতিনিধির মাধ্যমে
লিখিতভাবে আগামী ২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য বলা হল। অন্যথায় আপনার ব্যাখ্যা ছাড়াই নির্বাচন কমিশন এর নিকট তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা
হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেন পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের প্রচারণার শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাবনা-১ (সাঁথিয়া- বেড়ার একাংশ) আসনের ভোটের রাজনীতি। নানা বাধা, হুমকি, কর্মীদের মারধর,
গাড়ি ভাংচুরসহ নানা অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাঁথিয়া বাজারে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন নৌকার সমর্থকরা। পরে রাতে বাধা, হুমকি, কর্মীদের মারধর, গাড়ি ভাংচুর নিয়ে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।


























