০৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অতীতে ভোটের অধিকার ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে় ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়ে়ছিল। জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে় দিতে হবে; এই প্রত্যয় নিয়ে়ই সংগ্রাম করেছি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়ে়ছিল। যারাই নৌকায় ভোট দিয়ে়ছিল, তারাই নির্যাতনের শিকার হয়ে়ছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সংগ্রাম, ঘাত-প্রতিঘাত আমাদের পার করতে হয়ে়ছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়ে়ছে, কারাগারে যেতে হয়ে়ছে। তারপরও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে় আমরা ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি। জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। ৭৫-এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ।

তিনি বলেন, আমরা খাদ্যসেবা নিশ্চিত করি, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো, শিক্ষার ব্যবস্থা ও বিনামূল্যে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করি। আমরা দেশের রাস্তাঘাট-পুল ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিই, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়। ১৬০০ থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করি। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব- সেই পরিকল্পনা নিয়ে় কাজ শুরু করি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। কারণ, একটা বড় দেশ থেকে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব ছিল, আমি বলেছিলাম এটা জনগণের সম্পদ আমি বিক্রি করতে পারি না। কিন্তু খালেদা জিয়া রাজি হয়ে় যান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি কত মানুষকে হত্যা করেছে তার কোনো হিসাব নেই। আমাদের মা-বোনদের ওপর পাকিস্তানিরা যেভাবে নির্যাতন করেছে, সেভাবেই নির্যাতন করা হয়েছে। সেই সময় ফাহিমা, মহিমা, রুমা আত্মহত্যা করে নিজেদের ইজ্জত বাঁচান।

তিনি বলেন, এ রকম একটা তাণ্ডব শুধু নয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন বাংলাদেশ ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। পাঁচবার দুর্নীতিতে তারা বিশ্বে এক নম্বর হয়েছিল। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাংলা ভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আমাদের কত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তার হিসাব নেই। আমি নিজেই বারবার তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়ে়ছি। তারপরও আমরা কিন্তু দমে যাইনি, বরং এগিয়ে় গে়ছি। আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, এত বাধা বিপত্তি, অত্যাচার, নির্যাতন, সবকিছু সহ্য করে আপনারা সংগঠনকে ধরে রেখেছেন এবং এগিয়ে় যাচ্ছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

অতীতে ভোটের অধিকার ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল: শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে় ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়ে়ছিল। জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে় দিতে হবে; এই প্রত্যয় নিয়ে়ই সংগ্রাম করেছি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়ে়ছিল। যারাই নৌকায় ভোট দিয়ে়ছিল, তারাই নির্যাতনের শিকার হয়ে়ছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সংগ্রাম, ঘাত-প্রতিঘাত আমাদের পার করতে হয়ে়ছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়ে়ছে, কারাগারে যেতে হয়ে়ছে। তারপরও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে় আমরা ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি। জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। ৭৫-এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ।

তিনি বলেন, আমরা খাদ্যসেবা নিশ্চিত করি, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো, শিক্ষার ব্যবস্থা ও বিনামূল্যে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করি। আমরা দেশের রাস্তাঘাট-পুল ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিই, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়। ১৬০০ থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করি। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব- সেই পরিকল্পনা নিয়ে় কাজ শুরু করি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। কারণ, একটা বড় দেশ থেকে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব ছিল, আমি বলেছিলাম এটা জনগণের সম্পদ আমি বিক্রি করতে পারি না। কিন্তু খালেদা জিয়া রাজি হয়ে় যান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি কত মানুষকে হত্যা করেছে তার কোনো হিসাব নেই। আমাদের মা-বোনদের ওপর পাকিস্তানিরা যেভাবে নির্যাতন করেছে, সেভাবেই নির্যাতন করা হয়েছে। সেই সময় ফাহিমা, মহিমা, রুমা আত্মহত্যা করে নিজেদের ইজ্জত বাঁচান।

তিনি বলেন, এ রকম একটা তাণ্ডব শুধু নয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন বাংলাদেশ ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। পাঁচবার দুর্নীতিতে তারা বিশ্বে এক নম্বর হয়েছিল। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাংলা ভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আমাদের কত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তার হিসাব নেই। আমি নিজেই বারবার তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়ে়ছি। তারপরও আমরা কিন্তু দমে যাইনি, বরং এগিয়ে় গে়ছি। আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, এত বাধা বিপত্তি, অত্যাচার, নির্যাতন, সবকিছু সহ্য করে আপনারা সংগঠনকে ধরে রেখেছেন এবং এগিয়ে় যাচ্ছেন।