নেই লাইট অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুতুড়ে টয়লেটের তীব্র দুর্গন্ধে নাক-মুখে হাত চেপে থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের ওয়ার্ডে থাকা রোগী ও স্বজনদের। গন্ধে থাকার পরেও বাধ্য হয়েই হাত ও রুমালে মুখে চেপে টয়লেটে ঢুকতে হচ্ছে তাদের। গন্ধটা এত বেশি যে, বমি চলে আসার মতো অবস্থা। যেখানে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম। এমন অবস্থা জামালপুরের মেলান্দহ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এটি যেন রোগ নিরাময়ের হাসপাতাল নয়,যেন জীবাণুর চারণভূমি।
রোগী ও তাঁদের স্বজনের অভিযোগ হাসপাতালে পুরুষ ও মহিলা দুটি ওয়ার্ডের টয়লেটের অবস্থাই খুবই খারাপ। নেই লাইট অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ নোংরা ও অপরিষ্কার থাকায় রোগী এবং তাদের স্বজনদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। দুর্গন্ধে রোগীর সাথে অসুস্থ হয়ে পড়ছে রোগীর স্বজনরাও।
সরেজমিন দেখা যায়,’ হাসপাতালের দুই তলায় পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেট থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এরমধ্যে আবার পুরুষ ওয়ার্ডের টয়লেট গুলোতে লাইট নেই অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ। চিকিৎসার জন্য বাধ্য হয়েই হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা ও রোগীর স্বজনেরা নাক চেপে থাকছেন। রোগীদের থাকার বিছানার বেশিরভাগ ফোম ও নষ্ট হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।সব মিলিয়ে এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে রোগীদের চিকিৎসা সেবা।
এসব নিয়ে থ্যালেসেমিয়ার সমস্যার জন্য কয়েক ঘন্টার জন্য হাসপাতালে রোগীর সাথে আসা ফুলেরা বেগম এক স্বজন বলেন, হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা খুব খারাপ। যাওয়ার পরিবেশ নেই। নাকে রুমাল দিয়ে যেতে হয়। এ পরিবেশে রোগীর সাথে এসে বিপাকে পড়েছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে চলে যাব। নয়তো নিজেই অসুস্থ হয়ে যাবো। বাকিরা কিভাবে সহ্য করে থাকতেছে সেটাই বুঝতেছিনা।
সায়েদ আলী নামে এক রোগী বলেন,’টয়লেটে লাইট নেই অন্ধকার মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে যেতে হয়।
৭ দিন ধরে ভর্তি হয়েছি, টয়লেটের নোংরা দুর্গন্ধের মধ্যেও বাধ্য হয়েই নাক চেপে যায়তেছি।
টয়লেটের সবখানে মলমূত্র। রোগীদের তো দূরে থাক, সুস্থ লোকও এসব টয়লেটে গেলে অসুস্থ হয়ে যাবে।বিছনার ফোম ও নষ্ট হয়ে পচে গেছে।’
রাবেয়া খানম নামের এক রোগের স্বজন বলেন,’টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। গতকাল এসেছি টয়লেট থেকে দুর্গন্ধ আসতাছে, নাক চেপে থাকতে হইতাছে। টয়লেটে গেলে দুর্গন্ধে বমি আসে। রোগী সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পানি দিয়ে শুধু পরিষ্কার করে তাঁর জন্য দুর্গন্ধ যাই না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাব্বির আহমেদ বলেন,’টয়লেট পরিষ্কার করা হয়। রোগীরা টয়লেটের ভিতরে প্যাড ও পচা কাপড় ফেলে এর জন্য টয়লেটের লাইন কিছু দিন পর পর ব্লক হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গাজী মো. রফিকুল হক বলেন,এ বিষয়ে এলজিইডি কে জানানো হয়েছে। সংস্কার করার পর এই সমস্যা থাকবে না। আসলে রোগীরাই হাসপাতালের টয়লেটের ভিতরে পলিথিন প্যাডসহ মলমূত্র ফেলে নষ্ট করে। কয়েকবার সুইপার নিয়ে পরিস্কার করা হয়েছে।


























