বাংলাদেশে পেঁয়াজের সিংহভাগ আসে ভারত থেকে। গত ৮ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে রাতারাতি বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। পেঁয়াজের দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু এর পরও পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন। সরকার শেষ পর্যন্ত টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে।
এদিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে। কিন্তু নিজেদের বাজারে দাম কমে যাওয়ায় পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। গত কয়েকদিনে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কুইন্টালপ্রতি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম দ্য ইকোনমি টাইমস।
জানা গেছে, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়। এই রাজ্যের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গেছে। এই প্রধান উৎপাদন অঞ্চলগুলোতে দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার ফলে দেশটির সরকার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ পেঁয়াজের দাম কমে গেলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সামনে নির্বাচন, যে কারণে খুব শিগগির পেঁয়াজের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হতে পারে। আর ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ বাংলাদেশে এলে দাম একেবারে সহনীয় অবস্থায় চলে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বের অন্যতম বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭ ডিসেম্বর নিত্যপণ্যটি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ওই নির্দেশনা কার্যকর হয় তার পরদিন অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর থেকে, যার বড় প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। দুই-একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকার ওপর উঠে যায়। কেননা বাংলাদেশই ভারতীয় পেঁয়াজের বড় বাজার।
প্রসঙ্গত, ভারত যেসব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে পেঁয়াজ আমদানির ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে সঙ্গে কথা বলেছে। এরই ভিত্তিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানিতে আর কোনো বাধা থাকবে না।


























