১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয় হলো ৪৫ হাজার ডলার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামীকাল রবিবার (৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ, মিছিলের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন প্রার্থীরা। শুধু শারীরিকভাবেই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। ডিজিটাল প্রচারণার বিজ্ঞাপন বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছেন তারা। ফেসবুকে বাংলাদেশ থেকে সাত দিনে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে প্রায় ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে, যা প্রায় ৫০ লাখ টাকার সমান।

দেশে নির্বাচনের প্রচার শুরু হয় গত ১৮ ডিসেম্বর, শেষ হয় গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায়। তবে ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ফেসবুক বিজ্ঞাপনে নির্বাচনী প্রচারণায় কত অর্থ ব্যয় হয়েছে তার একটি হিসাব দিয়েছে মেটা। প্রার্থীরা নিজেরা যেমন ব্যয় করেছেন, তেমনি খরচ করা হয়েছে বিভিন্ন দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থেকে।

জানা যায়, সাত দিনে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বাবদ বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম, প্রায় পাঁচ হাজার ডলার। তিনি ঢাকা-১ আসনে দলের প্রার্থী। এর পরে রয়েছেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম এ রাজ্জাক খান, প্রায় দুই হাজার ডলার। তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জামালপুর-২ আসনে দলের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ। তিনি ব্যয় করেছেন প্রায় ১ হাজার ৭০০ ডলার।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পেজ থেকে সারা বছরই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তিনি ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সাত দিনে তার নামের পেজ থেকে ব্যয় করা হয়েছে ৯৪১ ডলার। মেটার অ্যাড লাইব্রেরিতে গত এক মাসের ব্যয়ের হিসাবও পাওয়া যায়। এ সময়ে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ডলার (১ কোটি ৪১ লাখ টাকা)। সে তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছেন সালমা ইসলাম, সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। গত ১৫ মাসের হিসাবে সবার আগের নামটি সালমান এফ রহমানের। এরপর রয়েছেন জুনাইদ আহ্মেদ ও এম এ রাজ্জাক খান।

মেটার হিসাবে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বেশি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগকে লক্ষ্য করে। এরপরে চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বাকি বিভাগগুলো। ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতা প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছেন ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী, জামালপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ, নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোরশেদ আলম, ঢাকা-১৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী, গাইবান্ধা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হোসেন, ঢাকা-৪ আসনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী ইয়াসিন পাভেল, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রমুখ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার পোল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেপোলিয়নক্যাটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফেসুবক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটির কিছু বেশি। মেটার হিসাবে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বেশি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগকে লক্ষ্য করে। এরপরে চট্টগ্রাাম, খুলনাসহ বাকি বিভাগগুলো।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ফেসবুকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয় হলো ৪৫ হাজার ডলার

আপডেট সময় : ০৭:১৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামীকাল রবিবার (৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ, মিছিলের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন প্রার্থীরা। শুধু শারীরিকভাবেই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। ডিজিটাল প্রচারণার বিজ্ঞাপন বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছেন তারা। ফেসবুকে বাংলাদেশ থেকে সাত দিনে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে প্রায় ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে, যা প্রায় ৫০ লাখ টাকার সমান।

দেশে নির্বাচনের প্রচার শুরু হয় গত ১৮ ডিসেম্বর, শেষ হয় গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায়। তবে ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ফেসবুক বিজ্ঞাপনে নির্বাচনী প্রচারণায় কত অর্থ ব্যয় হয়েছে তার একটি হিসাব দিয়েছে মেটা। প্রার্থীরা নিজেরা যেমন ব্যয় করেছেন, তেমনি খরচ করা হয়েছে বিভিন্ন দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থেকে।

জানা যায়, সাত দিনে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বাবদ বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম, প্রায় পাঁচ হাজার ডলার। তিনি ঢাকা-১ আসনে দলের প্রার্থী। এর পরে রয়েছেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম এ রাজ্জাক খান, প্রায় দুই হাজার ডলার। তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জামালপুর-২ আসনে দলের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ। তিনি ব্যয় করেছেন প্রায় ১ হাজার ৭০০ ডলার।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পেজ থেকে সারা বছরই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তিনি ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সাত দিনে তার নামের পেজ থেকে ব্যয় করা হয়েছে ৯৪১ ডলার। মেটার অ্যাড লাইব্রেরিতে গত এক মাসের ব্যয়ের হিসাবও পাওয়া যায়। এ সময়ে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ডলার (১ কোটি ৪১ লাখ টাকা)। সে তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছেন সালমা ইসলাম, সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। গত ১৫ মাসের হিসাবে সবার আগের নামটি সালমান এফ রহমানের। এরপর রয়েছেন জুনাইদ আহ্মেদ ও এম এ রাজ্জাক খান।

মেটার হিসাবে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বেশি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগকে লক্ষ্য করে। এরপরে চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বাকি বিভাগগুলো। ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতা প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছেন ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী, জামালপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ, নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোরশেদ আলম, ঢাকা-১৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী, গাইবান্ধা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হোসেন, ঢাকা-৪ আসনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী ইয়াসিন পাভেল, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রমুখ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার পোল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেপোলিয়নক্যাটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফেসুবক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটির কিছু বেশি। মেটার হিসাবে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বেশি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগকে লক্ষ্য করে। এরপরে চট্টগ্রাাম, খুলনাসহ বাকি বিভাগগুলো।