১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেই আফ্রিকায় শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন

নতুন বছরের শুরুতেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ। ১৯ জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গড়াবে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। যেখানে অংশ নিতে গতকাল রাত ১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। সব মিলিয়ে পঞ্চদশ আসরে যুবাদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছে লাখো ক্রিকেটপ্রেমী। অবশ্য এই স্বপ্নটা ষোল কোটি মানুষকে দেখাতে একপ্রকার বাধ্য করেছে আশিকুররা। গত যুব এশিয়া কাপে অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যে ট্রফি জয় তাদের নিয়ে প্রত্যাশা বাড়িয়েছে বহুগুণ। আরো একটি কারণও রয়েছে। বড় দল বিশ^কাপের মঞ্চে হতাশ করলেও জুনিয়র ক্রিকেটারদের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে সাফল্য চোখে পড়ার মতো। ২০২০ সালে আকবর-তাওহিদরা স¦প্নের এই সোনালি ট্রফিটা দেশে এনেছিলেন। সেবার আয়োজক হিসেবে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও পুরোনো স্মৃতি ফেরাতে চাইবে সম্ভাবনাময় ক্রিকেটাররা। যুব এশিয়া কাপ জেতার পর থেকে বিশ্বকাপে জুনিয়র টাইগারদের নিয়ে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছে বিসিবি। সেজন্য সুযোগ-সুবিধায় কোনো কমতি রাখছে না। আফ্রিকায় পৌঁছে যেন প্রস্তুতিতে ঘাটতি না থাকে তাই তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। টুর্নামেন্টে এ গ্রুপে রাব্বিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড।

বিশ্বকাপ শুরুর পরদিনই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যুবাদের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পাবার লড়াইয়ে প্রথম বাধা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। ২০ জানুয়ারি নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভালে তাদের মোকাবিলা করবে রিজওয়ানরা। প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতের শক্তিমত্তার জুড়ি নেই। এখনো সর্বোচ্চ ৫টি যুব বিশ^কাপ তাদের দখলে। ২০০০, ২০০৮, ২০১২, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২২ বিশ^কাপের চ্যাম্পিয়নদের মোকাবিলা করাটা নিশ্চয় বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে আরিফুল-শিহাবদের। এরপর দুদিন বাদেই আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয় পাওয়া আবশ্যক। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ২৬ জানুয়ারি যুবারা লড়বে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। তাদের বিপক্ষে জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে পরবর্তী রাউন্ডে বাংলাদেশের পথটা সহজ হবে।

দেশ ছাড়ার আগে যুবাদের পেস বোলিং কোচ ও জাতীয় দলের সাবেক পেসার নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জের কথা। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ শুরুর আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেবে ছেলেরা। এশিয়া কাপ জিতলেও কিছু কাজ করার জায়গা আছে। গত এক সপ্তাহ চেষ্টা করেছি এশিয়া কাপের ভুলত্রুটি শুধরে ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার।’

অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি শোনালেন আশার বাণী। দলের আত্মবিশ^াসের অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস অবশ্যই আছে। অবস্থাও ভালো। দোয়া করবেন যেন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। আমি শতভাগ সন্তুষ্ট। আমাদের দলের খেলোয়াড়রা আমাকে অনেক সহায়তা করছে। কোচ থেকে শুরু করে সবাই সহায়তা করে আমার কাজ সহজ করে দিচ্ছে। আমার মনে হয় কোনো কিছু ওরকম কঠিন হবে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি ভেন্যুতে চলবে এবারের যুব বিশ্বকাপ আসর। ফাইনাল হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। সব মিলিয়ে মোট ৪১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : মাহফুজুর রহমান রাব্বি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ আশিকুর রহমান শিবলি, জিসান আলম, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান, আদিল বিন সিদ্দিক, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বরণ্য, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শিহাব জেমস, আহরার আমিন (সহ-অধিনায়ক), শেখ পারভেজ জীবন, রাফি উজ্জামান রাফি, রাহাতউদ্দৌল্লা বর্ষণ, ইকবাল হাসান ইমন, ওয়াসি সিদ্দিকী এবং মারুফ মৃধা।

স্ট্যান্ড বাই: নাঈম আহমেদ, মোহাম্মদ রিজান হোসেন, আশরাফুল হাসান, তানভির আহমেদ ও একান্ত শেখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে বাড়ছে রোগ-বালাই

সেই আফ্রিকায় শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

নতুন বছরের শুরুতেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ। ১৯ জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গড়াবে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। যেখানে অংশ নিতে গতকাল রাত ১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। সব মিলিয়ে পঞ্চদশ আসরে যুবাদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছে লাখো ক্রিকেটপ্রেমী। অবশ্য এই স্বপ্নটা ষোল কোটি মানুষকে দেখাতে একপ্রকার বাধ্য করেছে আশিকুররা। গত যুব এশিয়া কাপে অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যে ট্রফি জয় তাদের নিয়ে প্রত্যাশা বাড়িয়েছে বহুগুণ। আরো একটি কারণও রয়েছে। বড় দল বিশ^কাপের মঞ্চে হতাশ করলেও জুনিয়র ক্রিকেটারদের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে সাফল্য চোখে পড়ার মতো। ২০২০ সালে আকবর-তাওহিদরা স¦প্নের এই সোনালি ট্রফিটা দেশে এনেছিলেন। সেবার আয়োজক হিসেবে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও পুরোনো স্মৃতি ফেরাতে চাইবে সম্ভাবনাময় ক্রিকেটাররা। যুব এশিয়া কাপ জেতার পর থেকে বিশ্বকাপে জুনিয়র টাইগারদের নিয়ে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছে বিসিবি। সেজন্য সুযোগ-সুবিধায় কোনো কমতি রাখছে না। আফ্রিকায় পৌঁছে যেন প্রস্তুতিতে ঘাটতি না থাকে তাই তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। টুর্নামেন্টে এ গ্রুপে রাব্বিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড।

বিশ্বকাপ শুরুর পরদিনই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যুবাদের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পাবার লড়াইয়ে প্রথম বাধা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। ২০ জানুয়ারি নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভালে তাদের মোকাবিলা করবে রিজওয়ানরা। প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতের শক্তিমত্তার জুড়ি নেই। এখনো সর্বোচ্চ ৫টি যুব বিশ^কাপ তাদের দখলে। ২০০০, ২০০৮, ২০১২, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২২ বিশ^কাপের চ্যাম্পিয়নদের মোকাবিলা করাটা নিশ্চয় বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে আরিফুল-শিহাবদের। এরপর দুদিন বাদেই আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয় পাওয়া আবশ্যক। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ২৬ জানুয়ারি যুবারা লড়বে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। তাদের বিপক্ষে জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে পরবর্তী রাউন্ডে বাংলাদেশের পথটা সহজ হবে।

দেশ ছাড়ার আগে যুবাদের পেস বোলিং কোচ ও জাতীয় দলের সাবেক পেসার নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জের কথা। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ শুরুর আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেবে ছেলেরা। এশিয়া কাপ জিতলেও কিছু কাজ করার জায়গা আছে। গত এক সপ্তাহ চেষ্টা করেছি এশিয়া কাপের ভুলত্রুটি শুধরে ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার।’

অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি শোনালেন আশার বাণী। দলের আত্মবিশ^াসের অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস অবশ্যই আছে। অবস্থাও ভালো। দোয়া করবেন যেন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। আমি শতভাগ সন্তুষ্ট। আমাদের দলের খেলোয়াড়রা আমাকে অনেক সহায়তা করছে। কোচ থেকে শুরু করে সবাই সহায়তা করে আমার কাজ সহজ করে দিচ্ছে। আমার মনে হয় কোনো কিছু ওরকম কঠিন হবে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি ভেন্যুতে চলবে এবারের যুব বিশ্বকাপ আসর। ফাইনাল হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। সব মিলিয়ে মোট ৪১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : মাহফুজুর রহমান রাব্বি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ আশিকুর রহমান শিবলি, জিসান আলম, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান, আদিল বিন সিদ্দিক, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বরণ্য, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শিহাব জেমস, আহরার আমিন (সহ-অধিনায়ক), শেখ পারভেজ জীবন, রাফি উজ্জামান রাফি, রাহাতউদ্দৌল্লা বর্ষণ, ইকবাল হাসান ইমন, ওয়াসি সিদ্দিকী এবং মারুফ মৃধা।

স্ট্যান্ড বাই: নাঈম আহমেদ, মোহাম্মদ রিজান হোসেন, আশরাফুল হাসান, তানভির আহমেদ ও একান্ত শেখ।