ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার লেবুবুনিয়া গ্রামের ২টি ঘরে দূর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এ সময় দূর্বৃত্তরা স্বর্না-অলংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার রাত ২ টায় উপজেলার লেবুবুনিয়া গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান মহারাজ ও মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়ার ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
রাতে অন্ধকারে ৩৫ থেকে ৪০ জনের দূর্বৃত্তদের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ঘর ২টি ভেঙ্গে তছনছ করে ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ভেঙ্গে নষ্ট করে ফেলে। বাড়ির আঙ্গীনায় ও আশেপাশের ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে হামলাকারীরা। আলমিরায় থাকা স্বর্না অলংকার, মূল্যবান জিনিস ও কাগজ পত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
গৃহিনী আছমা বেগম সবুজ বাংলাকে জানান, আমি জরুরী সেবা প্রধানকারী ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে কাঁঠালিয়া থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশ পৌছাবার পূবেই সন্ত্রাসীরা ২টি ঘরের সব কিছু ভেঙ্গে তছনছ করে ঘরে থাকা মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা আমাদের একই গ্রামের বাসিন্ধা। এর মধ্যে থেকে ৬ জনকে আমরা চিনতে পেরেছি। তারা হলেন, লেবুবুনিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান খোকন, মোঃ মিজানুর রহমান খোকন, মিজানুর রহমান ইউসুফ, রাজু হাওলাদার, শাহদাত, মনির ও মিধুল।
আছমা আরো জানান, আমাদের ঘরে থাকা স্বর্না অলংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ টাকা।
ঘটনার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ এমাদুল হক মনির ও কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল হক নাহিদ সিকদার।
এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার এস আই কাউয়ুম বাহাদুর সবুজ বাংলাকে জানান, আমি রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, হামলার ঘটনাটি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হতে পারে।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার সবুজ বাংলাকে জানান, রাতে জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে হামলার বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম ছুটে যায়। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





















