১১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনে কর্তৃপক্ষের উদযাপন 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এবং প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির পূর্বঘোষিত আন্দোলনের দ্বিতীয়দিন দেখা যায় এক ভিন্ন চিত্র। যেখানে একপাশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে গানবাজনায় উদযাপন করা হচ্ছিল ‘গণতন্ত্রের বিজয়’। অপরদিকে তার পাশেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ পালন করছিল অবস্থান কর্মসূচি।
আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় চবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে দেখা যায় এমন দৃশ্য।
শিক্ষক সমিতি পূর্বঘোষিত দ্বিতীয়দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান। এ সময় শিক্ষক সমিতির পূর্ব নির্ধারিত স্থান বেদখল হওয়াতে সমিতির নেতৃবৃন্দ সংগীতানুষ্ঠানের মধ্যে নিজেদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন ভিসির মদদে একই স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘ গণতন্ত্রের বিজয় ‘ নাম দিয়ে তারা গান, বাজনা, মঞ্চনাটক করে চলছেন। নিরাপত্তা কর্মচারীদেরকে দর্শকের কাতারে বসিয়ে অনুষ্ঠান করছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন দীনতা কবে থেকে শুরু হয়েছে আমার জানা নেই। যেখানে এমন আনন্দ উদযাপনের অনুমতি নেই সেখানে তারা আমাদের কর্মসূচি বাঞ্চাল করতে পরিকল্পিতভাবে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন।
সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. কে. এম কৌশিক আহমেদ বলেন, এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়! শিক্ষার্থীদের সামনে রেখে আপনারা শিক্ষকদের অপমান করছেন। একদিকে আমাদের কর্মসূচি অন্যদিকে আপনারা গান, বাজনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি জানতে পারেন অনতিবিলম্ব আপনাকে অপসারণ করবেন। শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানাবো অতিসত্বর এই উপাচার্য, উপ- উপাচার্যকে অপসারণ করার ব্যবস্থা করুন।
সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমরা আশা করি আপনি স্বসম্মানে বিদায় হবেন। না হলে লেজ গুটিয়ে পালানোর রাস্তাও পাবেন না।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, উপাচার্য একদিকে আমাদের সমঝোতার আহবান জানাচ্ছে অন্যদিকে আমাদের কর্মসূচি ব্যহত করার জন্য ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ নামে গান বাজনা করে যাচ্ছেন।  আমি আবারও বলতে চাই, মান সম্মান নিয়ে চলে যান, না হয় লেজ গুটিয়ে পালাবার পথও পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে উপাচার্য -উপ উপাচার্যের পদত্যাগ চাচ্ছি। উনাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
উল্লেখ্য, চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে’র পদত্যাগের দাবিতে টানা তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। আজ দ্বিতীয়দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ আন্দোলন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নায়ক রিয়াজের মৃত্যুসংবাদ ফেসবুকে, যা জানাল পরিবার

চবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনে কর্তৃপক্ষের উদযাপন 

আপডেট সময় : ০৬:২১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এবং প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির পূর্বঘোষিত আন্দোলনের দ্বিতীয়দিন দেখা যায় এক ভিন্ন চিত্র। যেখানে একপাশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে গানবাজনায় উদযাপন করা হচ্ছিল ‘গণতন্ত্রের বিজয়’। অপরদিকে তার পাশেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ পালন করছিল অবস্থান কর্মসূচি।
আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় চবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে দেখা যায় এমন দৃশ্য।
শিক্ষক সমিতি পূর্বঘোষিত দ্বিতীয়দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান। এ সময় শিক্ষক সমিতির পূর্ব নির্ধারিত স্থান বেদখল হওয়াতে সমিতির নেতৃবৃন্দ সংগীতানুষ্ঠানের মধ্যে নিজেদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন ভিসির মদদে একই স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘ গণতন্ত্রের বিজয় ‘ নাম দিয়ে তারা গান, বাজনা, মঞ্চনাটক করে চলছেন। নিরাপত্তা কর্মচারীদেরকে দর্শকের কাতারে বসিয়ে অনুষ্ঠান করছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন দীনতা কবে থেকে শুরু হয়েছে আমার জানা নেই। যেখানে এমন আনন্দ উদযাপনের অনুমতি নেই সেখানে তারা আমাদের কর্মসূচি বাঞ্চাল করতে পরিকল্পিতভাবে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন।
সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. কে. এম কৌশিক আহমেদ বলেন, এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়! শিক্ষার্থীদের সামনে রেখে আপনারা শিক্ষকদের অপমান করছেন। একদিকে আমাদের কর্মসূচি অন্যদিকে আপনারা গান, বাজনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি জানতে পারেন অনতিবিলম্ব আপনাকে অপসারণ করবেন। শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানাবো অতিসত্বর এই উপাচার্য, উপ- উপাচার্যকে অপসারণ করার ব্যবস্থা করুন।
সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমরা আশা করি আপনি স্বসম্মানে বিদায় হবেন। না হলে লেজ গুটিয়ে পালানোর রাস্তাও পাবেন না।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, উপাচার্য একদিকে আমাদের সমঝোতার আহবান জানাচ্ছে অন্যদিকে আমাদের কর্মসূচি ব্যহত করার জন্য ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ নামে গান বাজনা করে যাচ্ছেন।  আমি আবারও বলতে চাই, মান সম্মান নিয়ে চলে যান, না হয় লেজ গুটিয়ে পালাবার পথও পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে উপাচার্য -উপ উপাচার্যের পদত্যাগ চাচ্ছি। উনাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
উল্লেখ্য, চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে’র পদত্যাগের দাবিতে টানা তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। আজ দ্বিতীয়দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ আন্দোলন।