খাবারের দাম এবং পরিমাণের ‘অসামঞ্জস্যতার’ প্রতিবাদস্বরুপ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন তিনটি হোটেল তালাবদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেল, চড়ুইভাতি রেস্তুরা ও মক্কা হোটেল নামে তিনটি খাবারের দোকানে তালা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হোটেলগুলোতে খাবারের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি অনেক বেশি এবং শিক্ষার্থীদের সাধ্যের বাইরে। বর্তমান সময়ে যাবতীয় খরচ বহন করার পাশাপাশি চড়া দামে খাবার খাওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের জীবনযাপন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। কেউ কেউ আবার সপ্তাহে কয়েকদিন মাছ মাংসের দেখা পাচ্ছে না। অনেকে তিন বেলার খাবার পুরোপুরি খেতে পারছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম আবর্তনের আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী এম এইচ এস সাকিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের খাবারের চাহিদা না মেটানোর ফলে বাহিরের হোটেলগুলোয় আসতে হয়। কিন্তু তারা আমাদের থেকে ন্যায্যমূল্য রাখছে না। যে যার মত করে দাম বাড়াচ্ছে। আটার দাম বেড়েছিল কেজিপ্রতি ৫ টাকা কিন্তু তারা পরোটা প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০ টাকা করে দিয়েছে। মাংস গুলোর প্রতিকেজি আর দোকানে বিক্রি করা পিচের মধ্যে অসম্ভব ব্যবধান। এগুলো কেন করবে? শীতকালীন সবজিগুলো যেখানে অ্যাভেইলবল সেগুলো পর্যন্ত চড়া মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা স্টুডেন্ট, আমরা সবাই নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তের সন্তান। আমাদেরতো এগুলো বহন করা কষ্ট হচ্ছে। এগুলো যাতে সামনে না হয়, সেজন্য আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সাথে প্রয়োজনে কথা বলে শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টিমূলক খাবারের মূল্যের সমাধান চাই।’
মামা হোটেলের মালিক সোহাগ বলেন, ‘আসলে বিষয়টা হচ্ছে এখানে চার্টে দেওয়া আছে গরুর মাংস চাঁর পিচ ১৪০ টাকা, কিন্তু আমরা স্টুডেন্টদের জন্য সিঙ্গেল করে দুই পিচ দাম রাখি ৭০ টাকা। আজকে আমাদের একজন নতুন কর্মচারী যে বিষয়টি জানতোনা ফুল গরু এবং সোনালি মুরগির রোস্ট যার দাম হচ্ছে একপিছ ১২০ টাকা। দুইজন খেয়েছে যার ফলে তাদের বিল চলে আসছে ৩০০ টাকা প্রায়। এর ফলে স্টুডেন্টরা উত্তেজিত হয়ে সাটার লাগিয়ে দেয়। তাদের দাবি চাঁর পিচ গরু কিভাবে ১৪০ টাকা হয়, এক পিচ সোনালি রোস্ট কিভাবে ১২০ টাকা হয়।’
মক্কা হোটেলের মালিক বলেন, ‘আমি দোকানে ডিউটিতে ছিলাম। পরে মামারা এসে বললো, ওনারা খাবারের দাম নিয়ে সন্তুষ্ট না। এটা নিয়ে সব দোকান মালিকের সাথে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে চায়, যাতে করে শিক্ষার্থীদের সুবিধা হয়।
খাবারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বলেন, বর্তমান বাজারের দাম অনুযায়ী একটু বেশিই। কিন্তু দোকানের স্টাফদের বেতন-ভাতা মিটিয়ে আমাদেরও কষ্ট হয়।’


























