দুনিয়া দেখা বিশ্ব জয়ের পর তেইশ সালের ফিফা বর্ষসেরা হলেন ফুটবলের চমক দেয়া লিও মেসি। চলতি সময়ে ফুটবলের দৌরাত্ম্যে সমান তালে টিকে থাকা কিলিয়ান এমবাপে ও আর্লিং হালান্ডকে পেছনে ফেলে ইতিহাসে অষ্টমবারের মত জিতলেন ফিফা দ্যা বেস্ট অ্যাওয়ার্ড। ফুটবলের মাঠে দিনের পর দিন সময় গড়িয়ে নিজের কীর্তির জানান দেন লিও মেসি। সেরার প্রশ্নে টিম অধিনয়কদের ভোটেও পছন্দের তালিকায় ছিলেন মুগ্ধ করা এই ফুটবলের যাদুকর।
গেল বছরেই অষ্টম বারের মতো মেসির হাতেই উঠলো রেকর্ড ব্যালন ডি-অর। ফুটবল দুনিয়ার স্মরণীয় ইতিহাস লেখা হলো যার পায়ের ছোঁয়ায়। হলেন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার। আর্জেন্টিনার হয়ে পরলেন বিশ্বজয়ের মুকুট। এই ফুটবল বিশ্বরে দেখালো সেরার প্রশ্নে নিজের কীর্তি আর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সোনালী অধ্যায়। যেন দুনিয়ার ফুটবলে নজর দিলেই ভেসে ওঠে কীর্তিমান মেসি।

ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে তিনটি আলাদা ক্লাবে থেকে ব্যালন ডি-অর জিতলেন স্বপ্নছোঁয়া মেসি। বার্সেলোনা, পিএসজি, সবশেষে গেলেন ইন্টার মায়ামিতে। যেদিকেই যান নজর ও নজির হয়ে যান নিজেই। ফুটবল দুনিয়ার স্রোত যেন তার পায়ে পায়ে। সব গুঞ্জনের শেষে লিস্টের শীর্ষে থাকা নামটি যেন অনুমিত, ওই এক লিওনেল মেসি । এবারের সিজনেও ব্যালন ডি-অর জেতার দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থেকে নিজেরে জানান দিলো এই প্লে মেকার।
এক বিশ্বকাপ জয়েই তো নিশ্চিত ব্যালন ডি-অর। তবুও তার রেকর্ড থেমে নেই। একের পর এক চমক দেখলো ফুটবল দুনিয়া। চলতি মৌসুমে করেছেন ৪২টা গোল আর সতীর্থদের দিয়ে করালেন ষোলকলার ২৬টা। একাই এক বিশ্বকাপে দিলেন ৭টা গোল । এসব নাটকীয় ফুটবলের গল্প মেসি বলেই সম্ভব । লিষ্টের আরো আরো তারকা ফুটবলারদের পেছনে ফেলে ত্রিশের সীমানা পেরিয়েও অদম্য খেলোয়াড় হিসেবে তরুণদের সাথে সমানে তালে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছেন জর্নিম্যান লিওনেল মেসি ।

একজীবনের সাফল্য আর কীর্তিতে যেন লেখা হলো ফুটবল ইতিহাসের মহাকাব্য। যেই কাব্যের পাঠ হবে যুগ থেকে যুগান্তরে। সমস্ত দুনিয়ার ফুটবলে এক স্মরণীয় নাম হয়ে থাকবে। নিজের দল ও দেশ আর্জেন্টিনাকেও ছাড়িয়ে হয়ে উঠলেন গোটা বিশ্ব ফুটবল দুনিয়ার লিজেন্ড। খেলার গল্পের বাইরেও যে মানুষ হিশেবে কতোটা মার্জিত ও সরলতা লালন করে তা-ও জানা আছে ফুটবল প্রেমিদের কাছে। সবার কাছে যেন এই এক প্রেরণার নাম লিওনেল মেসি। ফুটবলের মেসি।
ইতিহাসের পাতায় লেখা হলো যার নাম সেই মেসির জীবনে ফুটবল থেকে নতুন করে কিছুই পাওয়ার নেই। একে একে সব স্বপ্নকে ছুঁয়ে নিজেকেও বারবার, কতোবার যে ছাড়িয়ে গেলেন টিকে থাকার আসরে। খেলায় নিজের সক্ষমতার জানান দিয়ে বসালেন কীর্তিমানের আসরে। হলেন গ্রেটেস্ট অব দ্য অল টাইম। একটা প্রবাদ আছে এমন— “কীর্তিমানের মৃত্যু নেই”। সত্যিই নামটা এমনই বরণীয় হলো ফুটবল বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে, ভক্তের কাছে। যার বাঁ পায়ের জাদুতে ছন্দ ও মুগ্ধতার পাঠ দিয়েছেন ফুটবলে।


























