ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে ভিসি চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীর ‘ভারত যদি সেকুলার হয় মসজিদ কেন মন্দির হয়’, ‘মিনার থেকে আজান রবে বাবরি মসজিদ আবার হবে’, ‘হে মুসলমান, আবার জাগো, বাবরি মসজিদ আবার গড়ো’, ‘বাবরি মসজিদের ভিত্তি হারিয়ে যেতে দিব না’, ‘বাবরি মসজিদের জায়গা ফিরিয়ে দাও দিতে হবে’, ‘সাম্প্রদায়িকতার কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, মুসলিম জাতিস্বত্বার উপর আঘাত হেনে বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে তদস্থলে রাম মন্দির স্থাপন করে ভারত সরকার সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, বাবরি মসজিদ স্থলে কোন মন্দির ছিল না, তা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। কিন্তু ১৯৯২ সালে কর সেবক দ্বারা বাবরি মসজিদ আক্রমণ করে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। যা পুরো দেশজুড়ে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিস্ফোরণ ঘটায়। আজকে মুসলমানদের স্থাপনা ভেঙে সেখানে রাম মন্দির স্থাপন করা হচ্ছে। আমরা এহেন সাম্প্রদায়িক উষ্কানির প্রতিবাদ জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তন্নী বলেন, রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল, ভারত একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ভারত সরকার মুসলমানদের এ ঐতিহাসিক স্থাপনাকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার নজির স্থাপন করেছে।আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।


























