০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগের চায় দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা : রিজভী

দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। সীমান্ত এলাকায় নারী-পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। তাদের জীবন যাচ্ছে মর্টারের শেলে। বাংলাদেশের চারদিকে সীমান্ত এলাকায় এখন রক্তক্ষয়ী খেলা চলছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ছোঁড়া অস্ত্রের আঘাতে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দলে দলে লোক এবং অস্ত্র বাংলাদেশে অনুপ্রবিষ্ট হচ্ছে। আর বাংলাদেশ সরকারের অভিসন্ধি প্রসূত নীরবতা মূলত দেশের মানুষকে নতজানু করার এক গভীর চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির বাণী এখন দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অথচ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত এবং জনগণ ছিল নিরাপদ।

রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপ-ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এই ভদ্রলোককে দেখলাম… বর্তমান বিনা ভোটের সরকার প্রধানের কাছে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। কাদের বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে?

বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত অক্টোবরে ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, ‘আপস হয়ে গেছে। আমরা আছি, দিল্লীও আছে। দিল্লী আছে, আমরাও আছি’। এই কথার অর্থ দেশের জনগণ নয়, আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকে আছে দিল্লীর করুণার ওপর। আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য হচ্ছে নিজ দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা। বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য মারা গেলেও আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দাবি করে বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে কমপক্ষে ২৫৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৩১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৪টি, দুইটি ঘটনা যা ধর্ষণের পর ধর্ষিতাকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কেউ নিরাপদ নয়। বর্তমান দুঃসময় সামাজিক নৈরাজ্যের চরম দৃষ্টান্ত। আর এর জন্য দায়ী দখলদার আওয়ামী সরকার।

‘৭৫ সালের পর এবারের নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে’-প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত নির্বাচনকে শুধুমাত্র ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার মোসাহেবরা ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু বলেছেন। শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ তামাশা হচ্ছে ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন।

 

 

 

স/ম

জনপ্রিয় সংবাদ

আ.লীগের চায় দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা : রিজভী

আপডেট সময় : ০২:২১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। সীমান্ত এলাকায় নারী-পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। তাদের জীবন যাচ্ছে মর্টারের শেলে। বাংলাদেশের চারদিকে সীমান্ত এলাকায় এখন রক্তক্ষয়ী খেলা চলছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ছোঁড়া অস্ত্রের আঘাতে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দলে দলে লোক এবং অস্ত্র বাংলাদেশে অনুপ্রবিষ্ট হচ্ছে। আর বাংলাদেশ সরকারের অভিসন্ধি প্রসূত নীরবতা মূলত দেশের মানুষকে নতজানু করার এক গভীর চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির বাণী এখন দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অথচ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত এবং জনগণ ছিল নিরাপদ।

রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপ-ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এই ভদ্রলোককে দেখলাম… বর্তমান বিনা ভোটের সরকার প্রধানের কাছে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। কাদের বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে?

বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত অক্টোবরে ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, ‘আপস হয়ে গেছে। আমরা আছি, দিল্লীও আছে। দিল্লী আছে, আমরাও আছি’। এই কথার অর্থ দেশের জনগণ নয়, আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকে আছে দিল্লীর করুণার ওপর। আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য হচ্ছে নিজ দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা। বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য মারা গেলেও আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দাবি করে বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে কমপক্ষে ২৫৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৩১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৪টি, দুইটি ঘটনা যা ধর্ষণের পর ধর্ষিতাকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কেউ নিরাপদ নয়। বর্তমান দুঃসময় সামাজিক নৈরাজ্যের চরম দৃষ্টান্ত। আর এর জন্য দায়ী দখলদার আওয়ামী সরকার।

‘৭৫ সালের পর এবারের নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে’-প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত নির্বাচনকে শুধুমাত্র ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার মোসাহেবরা ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু বলেছেন। শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ তামাশা হচ্ছে ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন।

 

 

 

স/ম