১২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বইমেলায় ভিড়ের তুলনায় বিক্রি কম

বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলার শুরু থেকেই দর্শনার্থী উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের রীতিমতো ঢল নেমেছে। তবে প্রকাশনা সংস্থাগুলো বলছে, দর্শক থাকলেও বইয়ের বিক্রি কম।

গতকাল শনিবার বইমেলার দশম দিনেও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি চত্বর ঘুরে দেখা যায়, লেখক-পাঠক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত বইমেলা। সকালে ছিল শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন শিশু প্রহর। শিশুপ্রহরে শিশুরা সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকিদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় পার করেন। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। মেলায় ঘুরতে আসাদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। স্টলে স্টলে ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন পাঠকরা। কেউ বই কিনছেন, কেউ ছবি তুলছেন। অনেকে আবার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।
তবে বইমেলার বিক্রয় কর্মীরা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবছর মানুষের উপস্থিতি শুরু থেকেই বেশি। তবে বই দেখলেও দর্শনার্থীরা কিনছেন কম। তবে বিক্রির ব্যাপারে এখনও আশাবাদী তারা।

শব্দশৈলী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সাগর তালুকদার বলেন, সবাই এসে বই উল্টেপাল্টে দেখছে। পছন্দ হলে নিয়েও নিচ্ছে। তবে উপস্থিতি হিসেবে বিক্রি কম। আশা করছি, সামনে বইয়ের বিক্রি বাড়বে।
প্রিয়মুখ প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এবার শুরু থেকে মেলায় মানুষ আসছে, ভালোই লাগছে। তারা বই খুলছেন, দেখছেন, চলে যাচ্ছেন। ভিড় থাকলেও বিক্রি সেই রকম নেই।

উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

বইমেলায় ভিড়ের তুলনায় বিক্রি কম

আপডেট সময় : ০৮:১৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলার শুরু থেকেই দর্শনার্থী উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের রীতিমতো ঢল নেমেছে। তবে প্রকাশনা সংস্থাগুলো বলছে, দর্শক থাকলেও বইয়ের বিক্রি কম।

গতকাল শনিবার বইমেলার দশম দিনেও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি চত্বর ঘুরে দেখা যায়, লেখক-পাঠক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত বইমেলা। সকালে ছিল শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন শিশু প্রহর। শিশুপ্রহরে শিশুরা সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকিদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় পার করেন। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। মেলায় ঘুরতে আসাদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। স্টলে স্টলে ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন পাঠকরা। কেউ বই কিনছেন, কেউ ছবি তুলছেন। অনেকে আবার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।
তবে বইমেলার বিক্রয় কর্মীরা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবছর মানুষের উপস্থিতি শুরু থেকেই বেশি। তবে বই দেখলেও দর্শনার্থীরা কিনছেন কম। তবে বিক্রির ব্যাপারে এখনও আশাবাদী তারা।

শব্দশৈলী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সাগর তালুকদার বলেন, সবাই এসে বই উল্টেপাল্টে দেখছে। পছন্দ হলে নিয়েও নিচ্ছে। তবে উপস্থিতি হিসেবে বিক্রি কম। আশা করছি, সামনে বইয়ের বিক্রি বাড়বে।
প্রিয়মুখ প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এবার শুরু থেকে মেলায় মানুষ আসছে, ভালোই লাগছে। তারা বই খুলছেন, দেখছেন, চলে যাচ্ছেন। ভিড় থাকলেও বিক্রি সেই রকম নেই।

উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন রয়েছে।