০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার ও তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে। গাজার জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সেখানে যা ঘটছে তা খুবই দুঃখজনক। তাই আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের বিরতিতে তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি ‘ফিলিস্তিনের দুর্দশাগ্রস্ত শিশু, নারী ও জনগণকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে তাদের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছে। দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলি আক্রমণকে বাংলাদেশ কখনোই সমর্থন করেনি। ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত। ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবে দুটি রাষ্ট্রের তত্ত্ব রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা উচিত। বাংলাদেশ সবসময় গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা। তাই আমরা কখনোই এটিকে সমর্থন করি না।

এর আগে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ২০২৪-এর ফাঁকে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফ-এ নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক সচিব ডেভিড ক্যামেরন এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, আজারবাইজান থেকে বৃহত্তর বিনিয়োগ আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর নেদারল্যান্ডসকে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়ন এবং ড্রেজিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস ব্যাপক অবদান রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশে আরো বেশি পরিমাণে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক কিভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের অবদানের প্রশংসা করে এটিকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। শেখ হাসিনা ক্যামেরনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আগামী নভেম্বরে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কপ২৯-এর আগে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তারা যুদ্ধ বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজা আক্রমণের অবসানের বিষয়েও আলোচনা করেন।

 

 

স/মিফা

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার ও তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে। গাজার জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সেখানে যা ঘটছে তা খুবই দুঃখজনক। তাই আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের বিরতিতে তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি ‘ফিলিস্তিনের দুর্দশাগ্রস্ত শিশু, নারী ও জনগণকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে তাদের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছে। দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলি আক্রমণকে বাংলাদেশ কখনোই সমর্থন করেনি। ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত। ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবে দুটি রাষ্ট্রের তত্ত্ব রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা উচিত। বাংলাদেশ সবসময় গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা। তাই আমরা কখনোই এটিকে সমর্থন করি না।

এর আগে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ২০২৪-এর ফাঁকে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফ-এ নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক সচিব ডেভিড ক্যামেরন এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, আজারবাইজান থেকে বৃহত্তর বিনিয়োগ আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর নেদারল্যান্ডসকে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়ন এবং ড্রেজিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস ব্যাপক অবদান রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশে আরো বেশি পরিমাণে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক কিভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের অবদানের প্রশংসা করে এটিকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। শেখ হাসিনা ক্যামেরনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আগামী নভেম্বরে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কপ২৯-এর আগে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তারা যুদ্ধ বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজা আক্রমণের অবসানের বিষয়েও আলোচনা করেন।

 

 

স/মিফা