◉ শীর্ষ নেতারা ছাড় পেলেও জেলে বিএনপির তৃণমূল
◉ মনোযোগ উপজেলা নির্বাচন, দ্রব্যমূল্য, বিদেশনীতিতে
◉ তৃণমূলকে চাঙা রাখার পরিকল্পনা আ.লীগের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক মাসের বেশি সময় পার হলেও বিএনপিকে এখনই মাঠের রাজনীতিতে ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থদফা সরকার গঠনের আওয়ামী লীগের এখন মুখ্য মনযোগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বিদেশ নীতিতে। নির্বাচনের আগে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর জোরালো আন্দোলন থাকলেও, নির্বাচনের পর রেশ নেই আন্দোলনের। শীর্ষ নেতাদের কারামুক্তি মিললেও, এখনো মাঠের রাজনীতিতে দলটিকে কোণঠাসা রাখার চিন্তা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের। তারা মনে করছে বিএনপিকে এখনই ছাড় দেওয়া হলে, আবারও আন্দেলনের নামে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি শুরু করবে। যা সরকারকে বিব্রত করার পাশাপাশি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বিদেশনীতিতে জটিলতা তৈরি করবে।
দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম সূত্র বলছে, বিএনপিকে কৌশলেই দমিয়ে রাখতে চান তারা। শীর্ষনেতারা ছাড়া পেলেও তৃণমূলের বড় অংশের নেতা এখন জেলে। তাদের ছাড়া পেতেও সময় লাগবে। যা দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি তৃণমূলের আস্থাহীনতা তৈরি করবে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। এ ছাড়াও সরকার বিদেশেনীতি নিয়েও তৎপরতা বাড়িয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সঙ্গে সর্ম্পক উন্নয়নে জোর দিচ্ছে সরকার। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকলে সরকার এ ক্ষেত্রেও বিব্রত হবে।
দলীয় সূত্র আরো বলছে, বিএনপির আন্দোলনের থেকে এখন গুরুত্বপূর্ণ তারেক রহমানের বলায় সংকুচিত করা দলটির মধ্যে। প্রায় ১৮ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও নির্বাচনরে আগে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে দলটির নেতাকর্মীরা। দেশের বাইরে থাকলেও নেতাকর্মীদের উপর তার প্রভাব ভাবাচ্ছে আওয়ামী লীগকে। এ ছাড়াও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় কোন্দল ঠেকানোর পাশাপাশি, স্বতন্ত্রভাবে বিএনপি নেতাদের নির্বাচনে আনার বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূলে আওয়ামী লীগকে চাঙা রাখার বিষয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার দলের যৌথসভায় দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নতুন করে গঠনসহ দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের দলীয় সভাপতির নির্দেশনার কথা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো বেপরোয়া রাজনীতির চালক মির্জা ফখরুল। রাজনীতিতে বিএনপি দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়। অতীতে তাদের এই ইতিহাস আছে। এই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা বারবার ঘটাতে চায়। এছাড়া রাজনীতিতে টিকে থাকার তাদের আর কোনো রসদ নেই।
সবশেষ গতকাল রোববার তিনি বলেন, বিএনপিকে নিয়ে অত মাথাব্যথা নেই। বিএনপি আন্দোলনে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। বিএনপি মুখে যা বলেছে তা করে দেখাতে পারেনি। দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো ইস্যু নির্বাচনের আগেও ছিল না, এখনো নেই। বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির ধারার কারণে তারা ভুল করেছে। দল চোরাবালিতে আটকে গেছে।
স/মিফা


























