০৮:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি বিজিএমইএ সভাপতির

বিদ্যুতের বাড়তি দাম পোশাক খাতের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেবে। তাই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। গতকাল রোববার রাজধানীর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘লঞ্চিং রিপোর্ট অন বেইওন্ড কটন: এ স্ট্রাটেজিক ব্লু প্রিন্ট ফর ফাইবার ডাইভারসিফিকেশন ইন বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে দেশে পোশাক তৈরির খরচ বেড়ে যাবে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ায় পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগিতার মুখে পড়বেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকরা। এ পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক পোশাক রপ্তানি খাতের কথা চিন্তা করে সরকারের প্রতি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বিদ্যুতের দাম কমানো উচিত বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
এ সময় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির সিংহভাগই কটন থেকে আসলেও নিকট ভবিষ্যতে নন কটন খাত বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ খাতে বাংলাদেশের আরো বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। আমাদের পোশাক রপ্তানির মাত্র ২৯ শতাংশ নন কটন। তবে আশার কথা হচ্ছে, নন কটন খাতে বিনিয়োগ ও বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সবচেয়ে বেশি।

ফারুক হাসান বলেন, গত ৩ বছরে দেশের নন কটন রপ্তানি ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পোশাক শিল্পে নন কটন খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এসেছে। আমাদের নন কটন ফাইবার ও টেক্সটাইল খাতে কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। অর্থাৎ এই খাতে পোশাক রপ্তানি আরো বাড়বে।
তবে নন কটন খাতে বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে এগিয়ে থাকায় তারা কম দামে নন কটন দিয়ে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে পারে। যেখানে আমাদের নিজস্ব কাঁচামাল না থাকায় কাঁচামাল আমদানি করে নন কটন রপ্তানি করতে খরচ বেশি পড়ে। তাই এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বেড়েছে চুরি-নারী নির্যাতন

বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি বিজিএমইএ সভাপতির

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

বিদ্যুতের বাড়তি দাম পোশাক খাতের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেবে। তাই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। গতকাল রোববার রাজধানীর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘লঞ্চিং রিপোর্ট অন বেইওন্ড কটন: এ স্ট্রাটেজিক ব্লু প্রিন্ট ফর ফাইবার ডাইভারসিফিকেশন ইন বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে দেশে পোশাক তৈরির খরচ বেড়ে যাবে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ায় পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগিতার মুখে পড়বেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকরা। এ পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক পোশাক রপ্তানি খাতের কথা চিন্তা করে সরকারের প্রতি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বিদ্যুতের দাম কমানো উচিত বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
এ সময় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির সিংহভাগই কটন থেকে আসলেও নিকট ভবিষ্যতে নন কটন খাত বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ খাতে বাংলাদেশের আরো বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। আমাদের পোশাক রপ্তানির মাত্র ২৯ শতাংশ নন কটন। তবে আশার কথা হচ্ছে, নন কটন খাতে বিনিয়োগ ও বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সবচেয়ে বেশি।

ফারুক হাসান বলেন, গত ৩ বছরে দেশের নন কটন রপ্তানি ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পোশাক শিল্পে নন কটন খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এসেছে। আমাদের নন কটন ফাইবার ও টেক্সটাইল খাতে কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। অর্থাৎ এই খাতে পোশাক রপ্তানি আরো বাড়বে।
তবে নন কটন খাতে বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে এগিয়ে থাকায় তারা কম দামে নন কটন দিয়ে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে পারে। যেখানে আমাদের নিজস্ব কাঁচামাল না থাকায় কাঁচামাল আমদানি করে নন কটন রপ্তানি করতে খরচ বেশি পড়ে। তাই এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।