১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মসজিদের ধ্বংসস্তূপে নামাজ আদায় গাজাবাসীর

ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষের মধ্যেই কয়েক ডজন গাজাবাসী রমজানের প্রথম দিন নামাজ আদায় করেন। এর আগে রোজার মাসে মসজিদের ধংসস্তূপের মধ্যে নামাজ আদায়ের এমন দৃশ্য কখনো দেখেনি ফিলিস্তিনবাসী। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলজুড়ে অস্থায়ী শিবিরে বসবাসকারী অনেকেই নামাজে অংশ নিতে পরেননি।

এই রমজানে গাজায় বঞ্চনার রূপই যেনো স্বাভাবিক হয়ে দেখা দিয়েছে। রাফাহ’র বাজারে খাদ্য সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েকটি দোকানে ঐতিহ্যগতভাবে রমজানে বিক্রি হওয়া ‘কাতায়েফ’ নামে এক ধরনের মিষ্টান্ন পাওয়া যাচ্ছে। রোজার মাসে সাধারণত রাস্তায় যে উজ্জ্বল আলো ও সাজসজ্জা শোভা পায়, তা স্পষ্টতই অনুপস্থিত। তবে কিছু কিছু স্টলে রমজানের ফানুস প্রদর্শন করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযানে খান ইউনিসে নিজ পরিবারের জন্য তৈরি করা এক বাড়ির মালিক ৬৩ বছর বয়সি জাকি হুসেইন আবু মনসুর বলেন, আমার ইচ্ছে হয়, বিমানগুলো আমার ওপর বোমা ফেলুক এবং আমি তাতে মারা যাই। এই জীবনের চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। কখনও কখনও আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি বাজারে দেখি, কিন্তু আমরা সেগুলি কিনতে অক্ষম।

গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে রাফাহতে আশ্রয় নেয়া ৩৯ বছর বয়সী দুই সন্তানের মা মাইসা আল-বালবিসি বলেন, আমরা শাকসবজির দামও দিতে পারি না, ফলের কথা ছেড়ে দিন। সবকিছুই খুব দামি। বাচ্চাদের ও আমার জন্য আমি কিছুই কিনতে পারছি না। এমনকি সবচেয়ে সাধারণ জিনিসের দামও আকাশচুম্বী হয়েছে।
এবার রমজানের প্রথম দিনে সূর্য উদিত হওয়ার সাথে সাথে রাফাহ জুড়ে বিমান হামলার ধোঁয়া দেখা যায়। ৫০ বছর বয়সী আউনি আল-কায়য়াল বলেন, তিনি জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মৃতদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স দেখতে পান। রমজানের শুরুটা ছিল দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক, সর্বত্র রক্তের গন্ধ ও দুর্গন্ধ। আমি আমার তাঁবুতে জেগে উঠেছি এবং এ অবস্থা দেখে কাঁদতে শুরু করেছি।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

মসজিদের ধ্বংসস্তূপে নামাজ আদায় গাজাবাসীর

আপডেট সময় : ০৬:০৩:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষের মধ্যেই কয়েক ডজন গাজাবাসী রমজানের প্রথম দিন নামাজ আদায় করেন। এর আগে রোজার মাসে মসজিদের ধংসস্তূপের মধ্যে নামাজ আদায়ের এমন দৃশ্য কখনো দেখেনি ফিলিস্তিনবাসী। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলজুড়ে অস্থায়ী শিবিরে বসবাসকারী অনেকেই নামাজে অংশ নিতে পরেননি।

এই রমজানে গাজায় বঞ্চনার রূপই যেনো স্বাভাবিক হয়ে দেখা দিয়েছে। রাফাহ’র বাজারে খাদ্য সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েকটি দোকানে ঐতিহ্যগতভাবে রমজানে বিক্রি হওয়া ‘কাতায়েফ’ নামে এক ধরনের মিষ্টান্ন পাওয়া যাচ্ছে। রোজার মাসে সাধারণত রাস্তায় যে উজ্জ্বল আলো ও সাজসজ্জা শোভা পায়, তা স্পষ্টতই অনুপস্থিত। তবে কিছু কিছু স্টলে রমজানের ফানুস প্রদর্শন করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযানে খান ইউনিসে নিজ পরিবারের জন্য তৈরি করা এক বাড়ির মালিক ৬৩ বছর বয়সি জাকি হুসেইন আবু মনসুর বলেন, আমার ইচ্ছে হয়, বিমানগুলো আমার ওপর বোমা ফেলুক এবং আমি তাতে মারা যাই। এই জীবনের চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। কখনও কখনও আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি বাজারে দেখি, কিন্তু আমরা সেগুলি কিনতে অক্ষম।

গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে রাফাহতে আশ্রয় নেয়া ৩৯ বছর বয়সী দুই সন্তানের মা মাইসা আল-বালবিসি বলেন, আমরা শাকসবজির দামও দিতে পারি না, ফলের কথা ছেড়ে দিন। সবকিছুই খুব দামি। বাচ্চাদের ও আমার জন্য আমি কিছুই কিনতে পারছি না। এমনকি সবচেয়ে সাধারণ জিনিসের দামও আকাশচুম্বী হয়েছে।
এবার রমজানের প্রথম দিনে সূর্য উদিত হওয়ার সাথে সাথে রাফাহ জুড়ে বিমান হামলার ধোঁয়া দেখা যায়। ৫০ বছর বয়সী আউনি আল-কায়য়াল বলেন, তিনি জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মৃতদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স দেখতে পান। রমজানের শুরুটা ছিল দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক, সর্বত্র রক্তের গন্ধ ও দুর্গন্ধ। আমি আমার তাঁবুতে জেগে উঠেছি এবং এ অবস্থা দেখে কাঁদতে শুরু করেছি।