০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদি আরবের জেদ্দায় গণহত্যা দিবস পালিত

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার উদ্যোগে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে বাঙ্গালি মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের ভয়াল ‘গণহত্যা দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে ।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই তরজমাসহ পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ একাত্তরে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণহত্যায় নিহত শহীদদের আত্নার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে। অতঃপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যার শিকার হওয়া শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবসের উপর তৈরি বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়েছে। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বক্তব্য পেশ করেন। বক্তব্যে তিনি গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতিটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদানের কথা বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ২৫ মার্চের গণহত্যার মূল খলনায়ক হিসেবে কুখ্যাত পাকিস্তানী আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান এবং টিক্কা খানের ধারাবাহিক কুকীর্তি ও নৃশংসতার বিশদ বর্ণনা করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস প্রত্যেক শিশু-কিশোরদের জানানোর জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান, যাতে তারা বড় হয়ে সঠিকভাবে শত্রু-মিত্র চিনতে পারে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে কনস্যুলেটে ও তাদের স্ব-স্ব বাসভবনে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ১ মিনিটের জন্য প্রতীকী ব্লাক-আউট পালন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-ছাত্র, স্থানীয় বাংলাদেশী সাংবাদিকবৃন্দ, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ জেদ্দা প্রবাসী অনেক বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

সৌদি আরবের জেদ্দায় গণহত্যা দিবস পালিত

আপডেট সময় : ০৭:১১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার উদ্যোগে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে বাঙ্গালি মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের ভয়াল ‘গণহত্যা দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে ।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই তরজমাসহ পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ একাত্তরে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণহত্যায় নিহত শহীদদের আত্নার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে। অতঃপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যার শিকার হওয়া শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবসের উপর তৈরি বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়েছে। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বক্তব্য পেশ করেন। বক্তব্যে তিনি গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতিটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদানের কথা বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ২৫ মার্চের গণহত্যার মূল খলনায়ক হিসেবে কুখ্যাত পাকিস্তানী আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান এবং টিক্কা খানের ধারাবাহিক কুকীর্তি ও নৃশংসতার বিশদ বর্ণনা করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস প্রত্যেক শিশু-কিশোরদের জানানোর জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান, যাতে তারা বড় হয়ে সঠিকভাবে শত্রু-মিত্র চিনতে পারে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে কনস্যুলেটে ও তাদের স্ব-স্ব বাসভবনে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ১ মিনিটের জন্য প্রতীকী ব্লাক-আউট পালন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-ছাত্র, স্থানীয় বাংলাদেশী সাংবাদিকবৃন্দ, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ জেদ্দা প্রবাসী অনেক বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।