১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই কিডনিই অচল, চিকিৎসার জন্য দেশবাসীর কাছে সহযোগিতার আকুতি ফরিদগঞ্জের ইউনুছ বেপারীর

আমি কাজ করে কোনরকমে সংসার চালাতাম। কিন্তু আমার দুইটি কিডনি অকার্যকর হওয়ায়  আমি এখন কর্মহীন হয়ে ঘরে পড়ে আছি। অর্থের অভাবে স্থায়ী চিকিৎসাও করাতে পারছি না। আমার ছোট দুইটি সন্তানের জন্য হলেও আমি বাঁচতে চাই। তাই আমি আমার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি সবাই যেন আমাকে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেন। আমি বাঁচতে চাই।
এইভাবেই বিনয়ের সাথে, মানবিক কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং পশ্চিম গুপ্টি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড খাজুরিয়া গ্রামের বেপারী বাড়ির  মরহুম আশেক আলী বেপারীর বড় ছেলে মোঃ ইউনুছ বেপারী(৪০)।
ইউনুছ বেপারী অন্যের জমিতে কৃষি কাজ আর গ্রামের হাটে সপ্তাহে দুই দিন সবজি বিক্রি করে অভাব-অনটনের মধ্যে মা, ২সন্তান আর স্ত্রী সহ কোনরকমে সংসারের ঘানি টানছিলেন। জায়গা-জমিহীন, দরিদ্র পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি ইউনুছ বেপারীর দুইটি কিডনিই অচল হয়ে পরিবারটিতে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। অসহায় হয়ে পড়ছে পুরো পরিবার, আর্থিক সংকটের কারনে স্থায়ী চিকিৎসা করাতে পারছেন না ইউনুছ বেপারীর।
ইউনুছ বেপারীর বলেন, আমি কাজ করেই কোনমতে সংসার চালাচ্ছিলাম। কিন্তু গত  ৯মাস  আগে আমার শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। এতে কোন উন্নতি না হওয়ায় আমি ঢাকায় জাতিয় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে পরীক্ষা করালে আমার দুইটি কিডনিই অচলের রিপোর্ট আসে। এর পর থেকেই আমি ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছি। গত ৬মাস ধরে সপ্তাহে ২টি করে মাসে মোট ৮টি ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। এতে প্রতি মাসে আমার খরচ হচ্চে ৪৫-৫০ হাজার টাকা। যা চালাতে গিয়ে আমি হিমশিম খেয়ে ইতিমধ্যে নিজের সর্বস্ব হারিয়ে  অনেক টাকা ঋনও হয়েছি। কিন্তু এখন ডাক্তার বলছেন দ্রুতই আমার কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হবে। এতে খরচ হবে ২০ লাখ টাকার মতো যা আমি বা আমার পরিবারের পক্ষে কোন ভাবেই যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিডনির ব্যবস্থা হলেও আমি অর্থের অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। এমন অবস্থায় আমি দেশবাসীর কাছে আকুল আবেদন করছি আমি বাঁচতে চাই। আমার ছোট ২ টি সন্তানের জন্য হলেও আমি বাঁচতে চাই। আমি সুস্থ্য হয়ে আবার কর্মে ফিরতে চাই। আমাকে বাঁচানোর জন্য সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসুন। আমাকে সহযোগিতা করুন।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আস্সাদুজ্জামান খান কালু বলেন, ইউনুছ বেপারী একজন কর্মঠ ছেলে। সে কাজ করেই সংসার চালাতেন। কিন্তু সে অসুস্থ হওয়াতে দরিদ্র পরিবারটি এখন অসহায়-নি:স্ব হয়ে পড়ছে। তার এমন জটিল রোগের কথা শুনে আমরা এলাকাবাসী তাকে চিকিৎসা করানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তার কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন। আমরা এলাকাবাসী ইতিমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য অর্থ সংরহ শুরু করেছি। এত বড় অংকের টাকা যোগান দিতে আমরা সমাজের সামর্থ্যবানদের কাছে উদাত্ত আহ্বান করছি সবাই যেন মানবিক জায়গায় থেকে তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন। একটি জীবন বাঁচাতে আমরাও সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

দুই কিডনিই অচল, চিকিৎসার জন্য দেশবাসীর কাছে সহযোগিতার আকুতি ফরিদগঞ্জের ইউনুছ বেপারীর

আপডেট সময় : ০৭:১৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
আমি কাজ করে কোনরকমে সংসার চালাতাম। কিন্তু আমার দুইটি কিডনি অকার্যকর হওয়ায়  আমি এখন কর্মহীন হয়ে ঘরে পড়ে আছি। অর্থের অভাবে স্থায়ী চিকিৎসাও করাতে পারছি না। আমার ছোট দুইটি সন্তানের জন্য হলেও আমি বাঁচতে চাই। তাই আমি আমার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি সবাই যেন আমাকে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেন। আমি বাঁচতে চাই।
এইভাবেই বিনয়ের সাথে, মানবিক কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং পশ্চিম গুপ্টি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড খাজুরিয়া গ্রামের বেপারী বাড়ির  মরহুম আশেক আলী বেপারীর বড় ছেলে মোঃ ইউনুছ বেপারী(৪০)।
ইউনুছ বেপারী অন্যের জমিতে কৃষি কাজ আর গ্রামের হাটে সপ্তাহে দুই দিন সবজি বিক্রি করে অভাব-অনটনের মধ্যে মা, ২সন্তান আর স্ত্রী সহ কোনরকমে সংসারের ঘানি টানছিলেন। জায়গা-জমিহীন, দরিদ্র পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি ইউনুছ বেপারীর দুইটি কিডনিই অচল হয়ে পরিবারটিতে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। অসহায় হয়ে পড়ছে পুরো পরিবার, আর্থিক সংকটের কারনে স্থায়ী চিকিৎসা করাতে পারছেন না ইউনুছ বেপারীর।
ইউনুছ বেপারীর বলেন, আমি কাজ করেই কোনমতে সংসার চালাচ্ছিলাম। কিন্তু গত  ৯মাস  আগে আমার শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। এতে কোন উন্নতি না হওয়ায় আমি ঢাকায় জাতিয় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে পরীক্ষা করালে আমার দুইটি কিডনিই অচলের রিপোর্ট আসে। এর পর থেকেই আমি ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছি। গত ৬মাস ধরে সপ্তাহে ২টি করে মাসে মোট ৮টি ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। এতে প্রতি মাসে আমার খরচ হচ্চে ৪৫-৫০ হাজার টাকা। যা চালাতে গিয়ে আমি হিমশিম খেয়ে ইতিমধ্যে নিজের সর্বস্ব হারিয়ে  অনেক টাকা ঋনও হয়েছি। কিন্তু এখন ডাক্তার বলছেন দ্রুতই আমার কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হবে। এতে খরচ হবে ২০ লাখ টাকার মতো যা আমি বা আমার পরিবারের পক্ষে কোন ভাবেই যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিডনির ব্যবস্থা হলেও আমি অর্থের অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। এমন অবস্থায় আমি দেশবাসীর কাছে আকুল আবেদন করছি আমি বাঁচতে চাই। আমার ছোট ২ টি সন্তানের জন্য হলেও আমি বাঁচতে চাই। আমি সুস্থ্য হয়ে আবার কর্মে ফিরতে চাই। আমাকে বাঁচানোর জন্য সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসুন। আমাকে সহযোগিতা করুন।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আস্সাদুজ্জামান খান কালু বলেন, ইউনুছ বেপারী একজন কর্মঠ ছেলে। সে কাজ করেই সংসার চালাতেন। কিন্তু সে অসুস্থ হওয়াতে দরিদ্র পরিবারটি এখন অসহায়-নি:স্ব হয়ে পড়ছে। তার এমন জটিল রোগের কথা শুনে আমরা এলাকাবাসী তাকে চিকিৎসা করানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তার কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন। আমরা এলাকাবাসী ইতিমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য অর্থ সংরহ শুরু করেছি। এত বড় অংকের টাকা যোগান দিতে আমরা সমাজের সামর্থ্যবানদের কাছে উদাত্ত আহ্বান করছি সবাই যেন মানবিক জায়গায় থেকে তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন। একটি জীবন বাঁচাতে আমরাও সবার সহযোগিতা কামনা করছি।